অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায়: বেনাপোল কাস্টমস

- আপডেট সময় ১১:৫১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
- / 8
গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউস। এ রেকর্ড অর্জনের পেছনে বাণিজ্যের স্বচ্ছতা, কাস্টমসের জবাবদিহিতা ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তবে পণ্য খালাসে জটিলতা দূর হলে রাজস্ব আয় আরও বাড়বে বলে তাদের অভিমত।
বাংলাদেশ-ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ স্থলপথের বাণিজ্যই সম্পন্ন হয় বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে। বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি এবং ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য রফতানি হয় এ পথে। বিপুল এই বাণিজ্যিক লেনদেন থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও চোখে পড়ার মতো।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেনাপোল কাস্টমসের জন্য ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। অথচ বাস্তবে আদায় হয়েছে ৭ হাজার ২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৩১৭ কোটি টাকা বেশি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন জানান, আগের তুলনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলেই রাজস্ব আয় বাড়ছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ মনে করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বিশেষত পদ্মাসেতুর সুবিধা বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার কারণে রাজস্ব আদায় বাড়ছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। তবে দ্রুত পণ্য খালাসে এখনও কিছু জটিলতা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকির ঘটনাও মাঝেমধ্যে ঘটে যাচ্ছে।
সাধারণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন বলেন, “বর্তমান সরকারের সময়ে দুর্নীতি অনেকটা কমেছে, ফলে রাজস্ব আয় বেড়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরও জোরদার করা গেলে রাজস্ব আয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।”
আমদানিকারক ইদ্রিস আলীর মতে, দ্রুত পণ্য খালাস নিশ্চিত করা গেলে ব্যবসায়ীদের আমদানি কার্যক্রমে আগ্রহ আরও বাড়বে এবং এর ফলে রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বেনাপোল কাস্টমস ৬ হাজার ১৬৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল।
ব্যবসায়ী মহল বলছে, পণ্য খালাস প্রক্রিয়াকে সহজতর করা ও শুল্ক ফাঁকি রোধে নজরদারি বাড়ানো গেলে এই ইতিবাচক ধারা আরও জোরালো হবে।