রংপুরে হিন্দুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ৫ জনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

- আপডেট সময় ০৭:২৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
- / 9
রংপুরের গংগাচড়ায় ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে হামলার ঘটনায় ৫ জনকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে গংগাচড়া আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ কমল রায় এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ৫ আসামির ৫ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করা হলে ২ দিনের করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। আর রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গংগাচড়া থানার ওসি আল এমরান। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে জেলখানা থেকে তাদের আদালতে নেওয়া হয়।
রিমান্ডে যাদের নেওয়া হয়েছে, তারা হলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের সিংগেরগাড়ি মাঝাপাড়ার লাভলু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন আলী (২৫), ধনীপাড়ার নুর আলমের ছেলে স্বাধীন মিয়া (২৮), চাঁদখানা মাঝাপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৮), পাঠানপাড়ার মৃত বাবুল খানের ছেলে এস এম আতিকুর রহমান খান আতিক (২২) ও চওড়াপাড়ার মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন সেলিম (২২)।
এদিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে রংপুরের গংগাচড়ায় আলদাদপুর গ্রামের বালাপাড়ায় হিন্দুপল্লীতে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ২৯ মঙ্গলবার রাতে ৫ জনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী। পরে বিকেলে আদালতে তোলা হলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গঙ্গাচড়া আমলী আদালতের বিচারক কৃঞ্চ কমল রায় তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গংগাচড়ার বেতগাড়ি ইউনয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের এক কিশোর (১৭) ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর লেখা ও ছবি দিয়েছে-এমন অভিযোগ পায় পুলিশ। পরে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করে শনিবার রাতে থানায় আনা হয়। পরে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা করে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সম্মিলিত শিশু পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয় তাকে। ওই কিশোর একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় পর্বের শিক্ষার্থী ও আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের সুজন চন্দ্র রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা শনিবার রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় ওই কিশোরের বিচারের দাবিতে মিছিলসহ হিন্দুপল্লীতে ঢুকে অন্তত ১৮ পরিবারের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একজন ভূক্তভোগী বাদী হয়ে ১২০০ জনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া থানায় মামলা করেন।