ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের মানুষের ঢলে মুখরিত ৪০০ বছরের প্রাচীন কুলিকুন্ডার শুঁটকি মেলা দাবি আদায়ে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে: প্রসিকিউটর আগামী রমজানের আগে নির্বাচন চায় জামায়াত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বন্ধের প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন 

রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও কন্যা পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। মামলায় অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর বারিধারায় রাজউকের জমি বরাদ্দে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি সুবিধা পেয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান।

এছাড়াও মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করা হয়েছে। তদন্তে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে আসামিদের গ্রেপ্তার প্রয়োজন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এবং বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
৫১২ বার পড়া হয়েছে

রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: শেখ হাসিনা ও কন্যা পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট সময় ০১:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

রাজউকের প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। মামলায় অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর বারিধারায় রাজউকের জমি বরাদ্দে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি সুবিধা পেয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান।

এছাড়াও মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করা হয়েছে। তদন্তে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে মামলাটি বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনতে আসামিদের গ্রেপ্তার প্রয়োজন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এবং বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।