ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের দুই দিনে ৩,৬২২ মামলা চাঁদপুরে সেরা সাঁতারু বাছাইয়ে ট্যালেন্ট হান্ট অনুষ্ঠিত, অংশগ্রহণ ২ শতাধিক সাঁতারু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত অন্তত ১৫ জন আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের পথে সাহস জোগায়: প্রধান উপদেষ্টা হাতিরঝিলে ‘এগিয়ে বাংলাদেশ’ দৌড় প্রতিযোগিতা, অংশগ্রহণে ৮০০ প্রতিযোগী ইসলামবিরোধী কার্যকলাপে কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি খেলাফত আমিরের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতা, ২৪৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ জামালপুরে নগর মাতৃসদনে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যু, আটক ২ নার্স দেশে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬ আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৫৪২

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৫৪২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলাভুক্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১০৯ জন এবং অন্যান্য ঘটনায় জড়িত ৪৩৩ জনকে আটক করা হয়।

শনিবার (৫ জুলাই) পুলিশের সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীদের ধরতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মামলার এজাহারভুক্ত ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১০৯ জন আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়। এছাড়া অন্যান্য অপরাধের ঘটনায় ৪৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মোট গ্রেপ্তার ১ হাজার ৫৪২ জনের মধ্যে অনেকেই মাদক, ছিনতাই, চুরি, সংঘবদ্ধ অপরাধসহ নানা অপরাধে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি এসএমজি (সাবমেশিন গান), একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, রাইফেলের ৬১ রাউন্ড গুলি এবং পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি।

পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের ধরতে প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এতে অপরাধীরা যতই গা-ঢাকা দিক না কেন, তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কিছু এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদকের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অপরাধী চক্রের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া এবং স্থানীয় মানুষের মনে নিরাপত্তা ফিরে আনার চেষ্টা চলছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলির উৎস খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৫৪২

আপডেট সময় ০৪:৩৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

 

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ হাজার ৫৪২ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলাভুক্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১০৯ জন এবং অন্যান্য ঘটনায় জড়িত ৪৩৩ জনকে আটক করা হয়।

শনিবার (৫ জুলাই) পুলিশের সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধীদের ধরতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মামলার এজাহারভুক্ত ও আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১০৯ জন আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়। এছাড়া অন্যান্য অপরাধের ঘটনায় ৪৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মোট গ্রেপ্তার ১ হাজার ৫৪২ জনের মধ্যে অনেকেই মাদক, ছিনতাই, চুরি, সংঘবদ্ধ অপরাধসহ নানা অপরাধে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।

অভিযানের সময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি এসএমজি (সাবমেশিন গান), একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, রাইফেলের ৬১ রাউন্ড গুলি এবং পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি।

পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিতভাবে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও তারা উল্লেখ করেন।

পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের ধরতে প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এতে অপরাধীরা যতই গা-ঢাকা দিক না কেন, তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি কিছু এলাকায় সন্ত্রাস ও মাদকের প্রভাব বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অপরাধী চক্রের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া এবং স্থানীয় মানুষের মনে নিরাপত্তা ফিরে আনার চেষ্টা চলছে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং উদ্ধার করা অস্ত্র-গুলির উৎস খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।