ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 49

ছবি: সংগৃহীত

 

অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত জি কে শামীমের জব্দ করা ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তার মা আয়েশা আক্তারকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে। মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। তবে ওই সময় জি কে শামীমের মা পলাতক থাকায় রায় পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এ সময় আসামিপক্ষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে।

আদালতে নতুন করে সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০ মার্চ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, এক সময় রাজউকের প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত জি কে শামীম বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। এবার আইনের মুখোমুখি হয়ে অবশেষে সাজা পেলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৪:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগে আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আদালত জি কে শামীমের জব্দ করা ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন। তবে মামলার অপর আসামি তার মা আয়েশা আক্তারকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়।

২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করে। মামলার বাদী ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। তবে ওই সময় জি কে শামীমের মা পলাতক থাকায় রায় পিছিয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। এ সময় আসামিপক্ষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে।

আদালতে নতুন করে সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২০ মার্চ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তা ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, এক সময় রাজউকের প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত জি কে শামীম বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। এবার আইনের মুখোমুখি হয়ে অবশেষে সাজা পেলেন তিনি।