ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক মনোভাব পরিত্যাগ করতে হবে:চীন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

চীন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক (অধিপত্যমূলক) মনোভাব পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এই বক্তব্যটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন, এই বিষয়টি বিশদভাবে বিশ্লেষণ করি।

যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক মনোভাব বলতে বোঝানো হয় যে, দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক ক্ষমতার একটি আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। এটি বিভিন্ন দেশে নীতি নির্ধারণ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়। বহু দেশ এই ধরনের মনোভাবকে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।

চীন, যেটি বর্তমানে একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিশ্বে তার প্রভাব বাড়াচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। চীনের কর্মকর্তারা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের একপেশে নীতির কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতা এবং সংঘাতের সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

চীনের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক আচরণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান, এবং অন্যান্য অঞ্চলে সামরিক ক্রিয়াকলাপের কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। চীন দাবি করে যে, এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় বিপদ।

চীন যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক মনোভাব পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়ে একটি সমন্বিত বৈশ্বিক নীতি গ্রহণের প্রস্তাব করছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বহুপাক্ষিক এবং সহযোগিতামূলক পদ্ধতির প্রতি গুরুত্বারোপ করছে, যেখানে সব দেশের স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো হবে।

চীনের মতে, আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সহযোগিতা এবং সংলাপের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া উচিত। তারা বিশ্বাস করে যে, একতরফা নীতি এবং শক্তি প্রদর্শন করার পরিবর্তে, দেশের মধ্যে সমঝোতা ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করা হলে বৈশ্বিক শান্তি এবং উন্নয়ন সম্ভব।

চীনের যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক মনোভাব পরিত্যাগের আহ্বান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের সূচনা করেছে। এই বক্তব্যটি শুধু চীনের উদ্বেগকেই প্রকাশ করে না, বরং বিশ্বব্যাপী শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ভবিষ্যতে কিভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এই জটিলতা সমাধান করা হবে, তা দেখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক মনোভাব পরিত্যাগ করতে হবে:চীন

আপডেট সময় ০১:৪০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

 

চীন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক (অধিপত্যমূলক) মনোভাব পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এই বক্তব্যটি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন, এই বিষয়টি বিশদভাবে বিশ্লেষণ করি।

যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক মনোভাব বলতে বোঝানো হয় যে, দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক ক্ষমতার একটি আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করে। এটি বিভিন্ন দেশে নীতি নির্ধারণ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর মাধ্যমে প্রকাশ পায়। বহু দেশ এই ধরনের মনোভাবকে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে।

চীন, যেটি বর্তমানে একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে বিশ্বে তার প্রভাব বাড়াচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। চীনের কর্মকর্তারা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগুলোকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং অন্যান্য দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের একপেশে নীতির কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের জটিলতা এবং সংঘাতের সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

চীনের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক আচরণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান, এবং অন্যান্য অঞ্চলে সামরিক ক্রিয়াকলাপের কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে। চীন দাবি করে যে, এই ধরনের আচরণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় বিপদ।

চীন যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক মনোভাব পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়ে একটি সমন্বিত বৈশ্বিক নীতি গ্রহণের প্রস্তাব করছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বহুপাক্ষিক এবং সহযোগিতামূলক পদ্ধতির প্রতি গুরুত্বারোপ করছে, যেখানে সব দেশের স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো হবে।

চীনের মতে, আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সহযোগিতা এবং সংলাপের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া উচিত। তারা বিশ্বাস করে যে, একতরফা নীতি এবং শক্তি প্রদর্শন করার পরিবর্তে, দেশের মধ্যে সমঝোতা ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করা হলে বৈশ্বিক শান্তি এবং উন্নয়ন সম্ভব।

চীনের যুক্তরাষ্ট্রের হেজেমনিক মনোভাব পরিত্যাগের আহ্বান আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের সূচনা করেছে। এই বক্তব্যটি শুধু চীনের উদ্বেগকেই প্রকাশ করে না, বরং বিশ্বব্যাপী শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ভবিষ্যতে কিভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের এই জটিলতা সমাধান করা হবে, তা দেখতে হবে।