ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বাজারে বসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০, তীব্র সংকটে লাখো মানুষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন নিকোলাস পুরান বিয়েবাড়িতে গরুর মাংস কম দেওয়ায় সংঘর্ষ, বরসহ আহত ২০ ইউক্রেনের ইতিহাসে মাইলফলক: প্রথমবারের মতো রাশিয়ার Su-35 ভূপাতিত করল F-16 দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফ পুশ-ইনের শিকার ২০ জন আটক ফকিরহাটে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৮ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ভারতে করোনার ভয়ংকর রূপ: ভারত ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ তিন এআই-এর লুকানো কথাবার্তা: বীপ-টোনের গোপন ভাষা!

রেলওয়ের লোকসান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ, দুর্নীতি ও অপচয়ই প্রধান বাধা: রেলপথ উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

 

রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, “রেলওয়ে এখন একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান। এক টাকা আয় করতে গিয়ে খরচ হয় আড়াই টাকা।” তার মতে, রেলওয়ের দীর্ঘদিনের লোকসানের মূল কারণ হলো দুর্নীতি ও অপচয়। এই চক্র থেকে রেলকে উদ্ধার করতে সরকার এখন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

বুধবার সকালে ঢাকা-ভৈরববাজার-ঢাকা রুটে নতুন একটি কমিউটার ট্রেন উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে নতুন ট্রেনটি ভৈরববাজার থেকে এসে ঢাকা স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে। উপদেষ্টা নিজ হাতে যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বাইরে শহরগুলোর দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। “শহরের বাইরের মানুষের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করছি, সেই অনুযায়ী রেলের উন্নয়নে কাজ করছি,” বলেন তিনি।

রেলওয়ের অর্থনৈতিক চাপে বিনা টিকিটে যাত্রা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। “রেলের সেবার মূল্য তুলনামূলকভাবে কম। এরপরেও অনেক যাত্রী টিকিট ছাড়াই যাতায়াত করছেন। এভাবে চলতে থাকলে রেল সেবা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে,” জানান উপদেষ্টা। যাত্রীদের তিনি অনুরোধ করেন, যারা ভাড়া না দিয়ে রেল ভ্রমণ করছে, তাদের রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে।

নরসিংদীতে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি স্টপেজে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। বেশি স্টপেজ দিলে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর গতি ও সময়মতো চলাচল ব্যাহত হয়। তাই স্টপেজ কমিয়ে লোকাল ট্রেনে বেশি স্টপ রাখা হবে।”

রেলের কোচ ও ইঞ্জিন সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সংকট কাটাতে চীনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আজই ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চীন যাচ্ছে, যেখানে কোচ ও লোকোমোটিভ সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হবে।”

উপদেষ্টা আরও জানান, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এক টাকা আয়ের পেছনে রেলের আসল খরচ নিরূপণের জন্য বিস্তারিত রিপোর্ট প্রস্তুত করতে।

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

রেলওয়ের লোকসান রোধে কার্যকর পদক্ষেপ, দুর্নীতি ও অপচয়ই প্রধান বাধা: রেলপথ উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৩:১৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, “রেলওয়ে এখন একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান। এক টাকা আয় করতে গিয়ে খরচ হয় আড়াই টাকা।” তার মতে, রেলওয়ের দীর্ঘদিনের লোকসানের মূল কারণ হলো দুর্নীতি ও অপচয়। এই চক্র থেকে রেলকে উদ্ধার করতে সরকার এখন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

বুধবার সকালে ঢাকা-ভৈরববাজার-ঢাকা রুটে নতুন একটি কমিউটার ট্রেন উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে। সকাল ৯টা ৫ মিনিটে নতুন ট্রেনটি ভৈরববাজার থেকে এসে ঢাকা স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামে। উপদেষ্টা নিজ হাতে যাত্রীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার রাজধানীর বাইরে শহরগুলোর দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। “শহরের বাইরের মানুষের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করছি, সেই অনুযায়ী রেলের উন্নয়নে কাজ করছি,” বলেন তিনি।

রেলওয়ের অর্থনৈতিক চাপে বিনা টিকিটে যাত্রা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। “রেলের সেবার মূল্য তুলনামূলকভাবে কম। এরপরেও অনেক যাত্রী টিকিট ছাড়াই যাতায়াত করছেন। এভাবে চলতে থাকলে রেল সেবা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে,” জানান উপদেষ্টা। যাত্রীদের তিনি অনুরোধ করেন, যারা ভাড়া না দিয়ে রেল ভ্রমণ করছে, তাদের রেল কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে।

নরসিংদীতে আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি স্টপেজে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় নষ্ট হয়। বেশি স্টপেজ দিলে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর গতি ও সময়মতো চলাচল ব্যাহত হয়। তাই স্টপেজ কমিয়ে লোকাল ট্রেনে বেশি স্টপ রাখা হবে।”

রেলের কোচ ও ইঞ্জিন সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সংকট কাটাতে চীনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আজই ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চীন যাচ্ছে, যেখানে কোচ ও লোকোমোটিভ সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হবে।”

উপদেষ্টা আরও জানান, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এক টাকা আয়ের পেছনে রেলের আসল খরচ নিরূপণের জন্য বিস্তারিত রিপোর্ট প্রস্তুত করতে।

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।