০৩:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

বাংলাদেশ-মেক্সিকো সম্পর্কের নতুন দিগন্ত, ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের অনুরোধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 59

ছবি সংগৃহীত

 

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। বুধবার মেক্সিকো সিটির ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল প্যালেসে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় তিনি ঢাকায় একটি মেক্সিকান দূতাবাস স্থাপনের অনুরোধ জানান, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা পৌঁছে দেন। একইসঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূত বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে, যা দুই দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি এই সুবর্ণ জয়ন্তীকে বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং জনগণের সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার, বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল জানান, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ-মেক্সিকো সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিশ্ব অর্থনীতিতে মেক্সিকো একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের অন্যতম সম্ভাবনাময় গন্তব্য। ঢাকায় মেক্সিকান দূতাবাস স্থাপন করা হলে দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল বলেন, বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যা সময়ের সঙ্গে আরও গভীর হচ্ছে। নতুন দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও নিবিড় সংযোগ সৃষ্টি হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-মেক্সিকো সম্পর্কের নতুন দিগন্ত, ঢাকায় মেক্সিকোর দূতাবাস স্থাপনের অনুরোধ

আপডেট সময় ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। বুধবার মেক্সিকো সিটির ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল প্যালেসে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় তিনি ঢাকায় একটি মেক্সিকান দূতাবাস স্থাপনের অনুরোধ জানান, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল প্রেসিডেন্ট শেইনবাউমকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের শুভেচ্ছা ও শুভকামনা পৌঁছে দেন। একইসঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রদূত বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে, যা দুই দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। তিনি এই সুবর্ণ জয়ন্তীকে বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং জনগণের সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার, বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল জানান, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ-মেক্সিকো সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।

বিশ্ব অর্থনীতিতে মেক্সিকো একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের অন্যতম সম্ভাবনাময় গন্তব্য। ঢাকায় মেক্সিকান দূতাবাস স্থাপন করা হলে দুই দেশের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল বলেন, বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যা সময়ের সঙ্গে আরও গভীর হচ্ছে। নতুন দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে আরও নিবিড় সংযোগ সৃষ্টি হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।