ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

মিয়ানমার জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের রাশিয়া সফর: পুতিনের প্রশংসায় সম্পর্কের নতুন দিগন্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / 31

ছবি সংগৃহীত

 

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। ক্রেমলিনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে একটি চুক্তিতেও সই করেছেন তারা।

পুতিনের সাথে বৈঠকের আগে মিন অং হ্লাইং মস্কোতে ছয়টি হাতি উপহার দিয়েছেন, যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি তার বিশেষ সম্মান ও সম্পর্কের গভীরতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। পুতিন এই উপহারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, হাতিগুলো মস্কো চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত হয়েছে এবং এটি দুই দেশের বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং, যিনি খুব কম বিদেশ সফর করেন, রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জামের প্রশংসা করেছেন এবং জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিনের পাশে আছেন। সম্প্রতি, মিয়ানমার রাশিয়া থেকে ছয়টি যুদ্ধবিমান ক্রয় করেছে, যা তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া, রাশিয়া-মিয়ানমার সম্পর্কের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে পুতিন উল্লেখ করেছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিনিয়ত শক্তিশালী হচ্ছে এবং গত বছর তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়া, যা মিয়ানমারের কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তি ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করছে, সেখানে একটি ১০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে।

এই সফর শুধু একে অপরকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়ানো নয়, বরং রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্কের গভীরতা ও শক্তি আরও প্রমাণিত করছে। রাশিয়া, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রেখেছে, যা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হলেও, মস্কো এই সম্পর্ককে একটি গঠনমূলক এবং উপকারী দিক হিসেবে তুলে ধরেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান এই সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও জোরালো হতে পারে, যার প্রভাব কেবল এশীয় অঞ্চলে নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও বিস্তার লাভ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মিয়ানমার জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের রাশিয়া সফর: পুতিনের প্রশংসায় সম্পর্কের নতুন দিগন্ত

আপডেট সময় ০৩:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

 

মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছেন। ক্রেমলিনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি, মিয়ানমারে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে একটি চুক্তিতেও সই করেছেন তারা।

পুতিনের সাথে বৈঠকের আগে মিন অং হ্লাইং মস্কোতে ছয়টি হাতি উপহার দিয়েছেন, যা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি তার বিশেষ সম্মান ও সম্পর্কের গভীরতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। পুতিন এই উপহারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, হাতিগুলো মস্কো চিড়িয়াখানায় স্থানান্তরিত হয়েছে এবং এটি দুই দেশের বন্ধুত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং, যিনি খুব কম বিদেশ সফর করেন, রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জামের প্রশংসা করেছেন এবং জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিনের পাশে আছেন। সম্প্রতি, মিয়ানমার রাশিয়া থেকে ছয়টি যুদ্ধবিমান ক্রয় করেছে, যা তাদের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এছাড়া, রাশিয়া-মিয়ানমার সম্পর্কের ২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে পুতিন উল্লেখ করেছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিনিয়ত শক্তিশালী হচ্ছে এবং গত বছর তাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়া, যা মিয়ানমারের কাছ থেকে পারমাণবিক শক্তি ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করছে, সেখানে একটি ১০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে।

এই সফর শুধু একে অপরকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার হাত বাড়ানো নয়, বরং রাশিয়া ও মিয়ানমারের সম্পর্কের গভীরতা ও শক্তি আরও প্রমাণিত করছে। রাশিয়া, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রেখেছে, যা বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হলেও, মস্কো এই সম্পর্ককে একটি গঠনমূলক এবং উপকারী দিক হিসেবে তুলে ধরেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমার ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান এই সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও জোরালো হতে পারে, যার প্রভাব কেবল এশীয় অঞ্চলে নয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও বিস্তার লাভ করবে।