ট্রাম্পের স্বাক্ষরে আইনে পরিণত বিতর্কিত অর্থনৈতিক বিল

- আপডেট সময় ১০:৪৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
- / 5
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হওয়া তার বহুল আলোচিত অর্থনৈতিক বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন, যা শুক্রবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আইনে রূপ নেয়।
এই বিলের মাধ্যমে ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ নীতির কিছু অংশ কার্যকর হলো যার মধ্যে রয়েছে কর ছাড়, প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি নীতি। স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে হোয়াইট হাউসে এক উৎসবমুখর পরিবেশে এ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সামরিক বাহিনীর পাইলটরাও উপস্থিত ছিলেন, যারা সম্প্রতি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিলেন।
ট্রাম্প সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বলেন, এই আইন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে। তবে জনমত জরিপে দেখা গেছে, অনেক আমেরিকান এই বিলের কিছু দিক নিয়ে সন্দিহান এবং এর কিছু শর্ত গ্রহণযোগ্য মনে করছেন না।
এমনকি ট্রাম্পের নিজের রিপাবলিকান পার্টির কিছু সদস্যও বিলের বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, এর ফলে মার্কিন ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যাবে। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, এই বিল মূলত ধনীদের সুবিধা দেবে এবং গরিব জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিলটি পাসের জন্য কংগ্রেসে কড়া লড়াই হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদে এটি ২১৮ বনাম ২১৪ ভোটে অনুমোদিত হয়, আর তার আগের দিন মঙ্গলবার সিনেটে এক ভোটের ব্যবধানে এটি পাস হয়।
ট্রাম্প কংগ্রেসকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে বিলটি তার কাছে পৌঁছে দিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যাতে স্বাধীনতা দিবসের আগে তিনি এটিকে আইনে পরিণত করতে পারেন।
কংগ্রেশনাল বাজেট অফিসের (সিবিও) পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই আইনের ফলে আগামী ১০ বছরে মার্কিন বাজেট ঘাটতি প্রায় ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে এবং কয়েক কোটি মানুষ স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা হারাতে পারেন। যদিও হোয়াইট হাউস এই আশঙ্কার সাথে একমত নয় এবং বলছে, আইনটি দেশের আর্থিক স্থিতি ও জাতীয় নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে।
বিলের সমর্থকরা মনে করছেন, এটি ব্যবসার পরিবেশকে উদ্দীপিত করবে এবং কর্মসংস্থান বাড়াবে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এর নেতিবাচক প্রভাব দেশকে দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপে ফেলতে পারে।