ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এসএসএফকে কাজ করতে হবে সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর কুয়ালালামপুরে ফের গুলির ঘটনা, শপিংমলের সামনে ২ জনকে হত্যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড সাফল্য, হ্যান্ডলিংয়ে বাড়ছে অগ্রগতি পেশাদারিত্ব ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিক এসএসএফ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ভারত-কানাডা সম্পর্কে বরফ গলছে, ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতা হোয়াইট হাউজে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বৈঠকে ফোর্ডো স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায়

রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্বের নিখোঁজ পদার্থ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

মহাবিশ্বে দৃশ্যমান বস্তুগুলোর বাইরেও রয়েছে এক বিশাল রহস্য অদৃশ্য অন্ধকার পদার্থ। মহাকর্ষীয় প্রভাব থেকে এর অস্তিত্ব অনুমান করা গেলেও সরাসরি ধরা পড়ে না বলেই একে ঘিরে বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধান দীর্ঘদিনের। আমাদের পরিচিত গ্যাস, ধুলা, তারা, গ্রহের মতো সাধারণ পদার্থগুলো মহাবিশ্বের মোট পদার্থের মাত্র ১৫ শতাংশ বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। এরও অর্ধেক এতদিন থেকে গেছে নিখোঁজ।

সম্প্রতি ৬৯টি ভিন্ন মহাজাগতিক উৎস থেকে নির্গত শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা সেই নিখোঁজ সাধারণ পদার্থের খোঁজ পেয়েছেন বলে জানান। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী লিয়াম কনর জানান, “আমরা বরাবরই জানতে চেয়েছি এসব পদার্থ আসলে কোথায় লুকিয়ে আছে? এখন মনে হচ্ছে, তারা ছড়িয়ে আছে ছায়াপথের বাইরের বিশৃঙ্খল এক মহাজাগতিক জালে।”

অন্ধকার পদার্থ নিয়ে এখনও রহস্য কাটেনি। এর গঠন কেমন, তা আজও অজানা। তবে সাধারণ পদার্থ কীভাবে গঠিত হয়, তা বিজ্ঞানীরা জানেন। এসব পদার্থ গঠিত হয় বেরিয়ন দিয়ে, যার মধ্যে আছে পরমাণুর অংশ প্রোটন ও নিউট্রন। সুপারনোভা বিস্ফোরণ কিংবা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের তীব্র ক্রিয়াকলাপের ফলে প্রচুর গ্যাস ছায়াপথ থেকে নির্গত হয় এবং তারা বা গ্যাস গ্রাস করার পর তা কিছু উপাদান ত্যাগ করে।

বিজ্ঞানী কনরের মতে, “মহাবিশ্ব যদি আরও স্থির বা পদার্থবিদ্যার নিয়ম একটু ভিন্ন হতো, তবে এসব পদার্থ ছায়াপথে জমে তারায় রূপান্তরিত হতো। প্রতিটি প্রোটন ও নিউট্রন তারার অংশ হতো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।”

এই সাধারণ পদার্থ নানা প্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিশাল দূরত্বে মহাবিশ্বের মহাজাগতিক মরুভূমির মতো জায়গায়। সেখানে তারা আর গ্যাসের আকারে থাকে না, বরং থাকে প্লাজমা অবস্থায়। এসব খুঁজে বের করতে গবেষকেরা ব্যবহার করছেন ‘ফার্স্ট রেডিও বার্স্ট’ বা এফআরবি। এটি হলো মহাবিশ্বের কোনো এক প্রান্ত থেকে আসা শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গের স্পন্দন। যদিও এ ধরনের স্পন্দনের উৎস এখনো অস্পষ্ট, ধারণা করা হয়, শক্তিশালী চৌম্বক নিউট্রন তারা থেকে এগুলো উৎপন্ন হয়।

রেডিও তরঙ্গ যখন মহাকাশের বিভিন্ন ঘনত্বের পদার্থ অতিক্রম করে, তখন তা বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিচ্ছুরণ থেকেই বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন আলোর পথে কতটা পদার্থ ছিল।

এভাবেই ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে মহাবিশ্বের নিখোঁজ সাধারণ পদার্থের রহস্য।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্বের নিখোঁজ পদার্থ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

আপডেট সময় ১১:০১:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

মহাবিশ্বে দৃশ্যমান বস্তুগুলোর বাইরেও রয়েছে এক বিশাল রহস্য অদৃশ্য অন্ধকার পদার্থ। মহাকর্ষীয় প্রভাব থেকে এর অস্তিত্ব অনুমান করা গেলেও সরাসরি ধরা পড়ে না বলেই একে ঘিরে বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধান দীর্ঘদিনের। আমাদের পরিচিত গ্যাস, ধুলা, তারা, গ্রহের মতো সাধারণ পদার্থগুলো মহাবিশ্বের মোট পদার্থের মাত্র ১৫ শতাংশ বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। এরও অর্ধেক এতদিন থেকে গেছে নিখোঁজ।

সম্প্রতি ৬৯টি ভিন্ন মহাজাগতিক উৎস থেকে নির্গত শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ বিশ্লেষণ করে গবেষকেরা সেই নিখোঁজ সাধারণ পদার্থের খোঁজ পেয়েছেন বলে জানান। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী লিয়াম কনর জানান, “আমরা বরাবরই জানতে চেয়েছি এসব পদার্থ আসলে কোথায় লুকিয়ে আছে? এখন মনে হচ্ছে, তারা ছড়িয়ে আছে ছায়াপথের বাইরের বিশৃঙ্খল এক মহাজাগতিক জালে।”

অন্ধকার পদার্থ নিয়ে এখনও রহস্য কাটেনি। এর গঠন কেমন, তা আজও অজানা। তবে সাধারণ পদার্থ কীভাবে গঠিত হয়, তা বিজ্ঞানীরা জানেন। এসব পদার্থ গঠিত হয় বেরিয়ন দিয়ে, যার মধ্যে আছে পরমাণুর অংশ প্রোটন ও নিউট্রন। সুপারনোভা বিস্ফোরণ কিংবা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের তীব্র ক্রিয়াকলাপের ফলে প্রচুর গ্যাস ছায়াপথ থেকে নির্গত হয় এবং তারা বা গ্যাস গ্রাস করার পর তা কিছু উপাদান ত্যাগ করে।

বিজ্ঞানী কনরের মতে, “মহাবিশ্ব যদি আরও স্থির বা পদার্থবিদ্যার নিয়ম একটু ভিন্ন হতো, তবে এসব পদার্থ ছায়াপথে জমে তারায় রূপান্তরিত হতো। প্রতিটি প্রোটন ও নিউট্রন তারার অংশ হতো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।”

এই সাধারণ পদার্থ নানা প্রক্রিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিশাল দূরত্বে মহাবিশ্বের মহাজাগতিক মরুভূমির মতো জায়গায়। সেখানে তারা আর গ্যাসের আকারে থাকে না, বরং থাকে প্লাজমা অবস্থায়। এসব খুঁজে বের করতে গবেষকেরা ব্যবহার করছেন ‘ফার্স্ট রেডিও বার্স্ট’ বা এফআরবি। এটি হলো মহাবিশ্বের কোনো এক প্রান্ত থেকে আসা শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গের স্পন্দন। যদিও এ ধরনের স্পন্দনের উৎস এখনো অস্পষ্ট, ধারণা করা হয়, শক্তিশালী চৌম্বক নিউট্রন তারা থেকে এগুলো উৎপন্ন হয়।

রেডিও তরঙ্গ যখন মহাকাশের বিভিন্ন ঘনত্বের পদার্থ অতিক্রম করে, তখন তা বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিচ্ছুরণ থেকেই বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন আলোর পথে কতটা পদার্থ ছিল।

এভাবেই ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে মহাবিশ্বের নিখোঁজ সাধারণ পদার্থের রহস্য।