ঢাকা ০৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ৩৯০ জন, আহত সহস্রাধিক লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য কৃষক সুলতানের ইউনূস-তারেক বৈঠকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: আমীর খসরু করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রস্তুত রয়েছে সরকার: ডা. সায়েদুর রহমান সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান সমর্থকদের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

সরকারি দামে অনীহা ট্যানারির, চামড়া নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

 

চামড়ার হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোনো বাস্তব প্রতিফলন নেই এমনই অভিযোগ তুলছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চামড়া ব্যবসায়ীরা।

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ হাটে ঈদের পর প্রথম হাট বসতেই চরম অসন্তোষ দেখা গেছে স্থানীয় ও আগত ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, তা শুধুই কাগজে-কলমে থেকে যাচ্ছে। বাস্তবে ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে অনেক কম দামে চামড়া কিনছেন।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে আসা চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রায় ৮০০টি চামড়া সংগ্রহ করেছেন। প্রতিটি চামড়ায় প্রক্রিয়াজাত করতে গড়ে ৯০০ টাকা খরচ হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যাতায়াত, লবণ, শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য খরচ। অথচ ট্যানারি প্রতিনিধিরা একেকটি চামড়ার দাম বলছেন মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। তিনি বলেন, “এই দামে বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা, নিজের পুঁজি তোলাই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।”

শম্ভুগঞ্জ চামড়ার হাট ময়মনসিংহ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার হাট হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর ঈদের পর হাজার হাজার চামড়া কেনাবেচা হয় এই হাটে। কিন্তু এবারের হাটে চাহিদার তুলনায় দাম কম থাকায় অনেক ব্যবসায়ী চামড়া বিক্রি না করে ফেলে রাখছেন। লোকসানের ভয়ে কেউ কেউ চামড়া পচে গেলেও বিক্রি করছেন না।

ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে অবশ্য ভিন্ন বক্তব্য উঠে এসেছে। তাঁদের দাবি, চামড়ার মান অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করছেন তারা। সরকারের নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কেনা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।

শম্ভুগঞ্জ চামড়ার হাটের ইজারাদার আবু জাফর সুমন বলেন, “এবার হাটে আটটি দিনব্যাপী কার্যক্রম চলবে। প্রায় অর্ধলক্ষাধিক চামড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় সংখ্যা ও দাম দুটোই কম।”

এদিকে বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকার যদি মাঠপর্যায়ে তদারকি না করে, তবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দরপতন চলতেই থাকবে। ফলে চামড়া শিল্পে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি দামে অনীহা ট্যানারির, চামড়া নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় ১১:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

 

চামড়ার হাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যের কোনো বাস্তব প্রতিফলন নেই এমনই অভিযোগ তুলছেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চামড়া ব্যবসায়ীরা।

ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ হাটে ঈদের পর প্রথম হাট বসতেই চরম অসন্তোষ দেখা গেছে স্থানীয় ও আগত ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, সরকার যে দাম নির্ধারণ করেছে, তা শুধুই কাগজে-কলমে থেকে যাচ্ছে। বাস্তবে ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে অনেক কম দামে চামড়া কিনছেন।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থেকে আসা চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রায় ৮০০টি চামড়া সংগ্রহ করেছেন। প্রতিটি চামড়ায় প্রক্রিয়াজাত করতে গড়ে ৯০০ টাকা খরচ হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যাতায়াত, লবণ, শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য খরচ। অথচ ট্যানারি প্রতিনিধিরা একেকটি চামড়ার দাম বলছেন মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। তিনি বলেন, “এই দামে বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা, নিজের পুঁজি তোলাই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে।”

শম্ভুগঞ্জ চামড়ার হাট ময়মনসিংহ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার হাট হিসেবে পরিচিত। প্রতি বছর ঈদের পর হাজার হাজার চামড়া কেনাবেচা হয় এই হাটে। কিন্তু এবারের হাটে চাহিদার তুলনায় দাম কম থাকায় অনেক ব্যবসায়ী চামড়া বিক্রি না করে ফেলে রাখছেন। লোকসানের ভয়ে কেউ কেউ চামড়া পচে গেলেও বিক্রি করছেন না।

ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে অবশ্য ভিন্ন বক্তব্য উঠে এসেছে। তাঁদের দাবি, চামড়ার মান অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করছেন তারা। সরকারের নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কেনা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।

শম্ভুগঞ্জ চামড়ার হাটের ইজারাদার আবু জাফর সুমন বলেন, “এবার হাটে আটটি দিনব্যাপী কার্যক্রম চলবে। প্রায় অর্ধলক্ষাধিক চামড়া কেনাবেচার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় সংখ্যা ও দাম দুটোই কম।”

এদিকে বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরকার যদি মাঠপর্যায়ে তদারকি না করে, তবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দরপতন চলতেই থাকবে। ফলে চামড়া শিল্পে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।