ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে মূল্যস্ফীতির হার কমছে: প্রেস সচিব জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে আমরা কোনো বক্তব্য করিনি: নাহিদ ইসলাম রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ জাপানের দ্বীপপুঞ্জে ১৬০০ বার ভূমিকম্পের আঘাত, আতঙ্কিত দ্বীপবাসী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ, আদেশ ১০ জুলাই শেরপুরে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে শিশুর মৃত্যু, আহত ৫ অস্ট্রেলিয়ায় বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি হত্যা, গৃহবধূ দোষী সাব্যস্ত স্বৈরাচারের পক্ষে কেউ থাকলে এই বাংলাদেশে তার ঠাঁই হবে না: হাসনাত আবদুল্লাহ ভারতীয় এয়ারলাইন্সে ফের বিপত্তি, রিয়াদ-দিল্লি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ সরকারের মবকে আশকারা দেওয়ায় র মুখে: মাসুদ কামালআইনের শাসন প্রশ্নে

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 137

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার মূল্য আরও কমিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত ১৮ মে, রোববার বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে জারি করা একটি পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

বিটিআরসি জানায়, ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ সাধারণ মানুষের নাগালে আনতে একটি গ্রাহকবান্ধব ও বাস্তবভিত্তিক ট্যারিফ কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) এর জন্য প্রযোজ্য হবে। প্রণীত খসড়াটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, ৫ এমবিপিএস সংযোগে মাসিক বিল ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে ১০ এমবিপিএস সংযোগে ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস সংযোগে ১২০০ টাকার পরিবর্তে ১১০০ টাকা বিল দিতে হবে গ্রাহকদের।

বিটিআরসির পরিপত্র অনুযায়ী, এই ট্যারিফ কাঠামো ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়ে প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত এটি পরিবর্তন করা যাবে না, তবে বাজার পরিস্থিতি ও গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় কমিশন যেকোনো সময় তা সংশোধন করতে পারবে।

সেবার মান নিশ্চিত করতে গ্রেড এ, বি ও সি মোতাবেক নির্ধারিত মান বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রাহক যদি পরপর পাঁচ দিন ইন্টারনেট সেবা না পান, তাহলে সংশ্লিষ্ট মাসে বিলের ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ১০ দিন সেবা না পেলে ২৫ শতাংশ এবং টানা ১৫ দিন না পেলে সে মাসের সম্পূর্ণ বিল মওকুফ করা হবে।

ট্যারিফ অনুযায়ী, সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে কমিশনের অনুমোদিত চার্জ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া অনুমোদনহীন কোনো সেবা পরিচালনা করলে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন এ উদ্যোগের ফলে দেশের ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী খরচে উন্নতমানের ইন্টারনেট সেবা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

আপডেট সময় ০৫:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার মূল্য আরও কমিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত ১৮ মে, রোববার বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে জারি করা একটি পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

বিটিআরসি জানায়, ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ সাধারণ মানুষের নাগালে আনতে একটি গ্রাহকবান্ধব ও বাস্তবভিত্তিক ট্যারিফ কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) এর জন্য প্রযোজ্য হবে। প্রণীত খসড়াটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, ৫ এমবিপিএস সংযোগে মাসিক বিল ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে ১০ এমবিপিএস সংযোগে ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস সংযোগে ১২০০ টাকার পরিবর্তে ১১০০ টাকা বিল দিতে হবে গ্রাহকদের।

বিটিআরসির পরিপত্র অনুযায়ী, এই ট্যারিফ কাঠামো ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়ে প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত এটি পরিবর্তন করা যাবে না, তবে বাজার পরিস্থিতি ও গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় কমিশন যেকোনো সময় তা সংশোধন করতে পারবে।

সেবার মান নিশ্চিত করতে গ্রেড এ, বি ও সি মোতাবেক নির্ধারিত মান বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রাহক যদি পরপর পাঁচ দিন ইন্টারনেট সেবা না পান, তাহলে সংশ্লিষ্ট মাসে বিলের ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ১০ দিন সেবা না পেলে ২৫ শতাংশ এবং টানা ১৫ দিন না পেলে সে মাসের সম্পূর্ণ বিল মওকুফ করা হবে।

ট্যারিফ অনুযায়ী, সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে কমিশনের অনুমোদিত চার্জ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া অনুমোদনহীন কোনো সেবা পরিচালনা করলে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন এ উদ্যোগের ফলে দেশের ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী খরচে উন্নতমানের ইন্টারনেট সেবা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।