ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার মূল্য আরও কমিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত ১৮ মে, রোববার বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে জারি করা একটি পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

বিটিআরসি জানায়, ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ সাধারণ মানুষের নাগালে আনতে একটি গ্রাহকবান্ধব ও বাস্তবভিত্তিক ট্যারিফ কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) এর জন্য প্রযোজ্য হবে। প্রণীত খসড়াটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, ৫ এমবিপিএস সংযোগে মাসিক বিল ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে ১০ এমবিপিএস সংযোগে ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস সংযোগে ১২০০ টাকার পরিবর্তে ১১০০ টাকা বিল দিতে হবে গ্রাহকদের।

বিটিআরসির পরিপত্র অনুযায়ী, এই ট্যারিফ কাঠামো ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়ে প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত এটি পরিবর্তন করা যাবে না, তবে বাজার পরিস্থিতি ও গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় কমিশন যেকোনো সময় তা সংশোধন করতে পারবে।

সেবার মান নিশ্চিত করতে গ্রেড এ, বি ও সি মোতাবেক নির্ধারিত মান বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রাহক যদি পরপর পাঁচ দিন ইন্টারনেট সেবা না পান, তাহলে সংশ্লিষ্ট মাসে বিলের ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ১০ দিন সেবা না পেলে ২৫ শতাংশ এবং টানা ১৫ দিন না পেলে সে মাসের সম্পূর্ণ বিল মওকুফ করা হবে।

ট্যারিফ অনুযায়ী, সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে কমিশনের অনুমোদিত চার্জ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া অনুমোদনহীন কোনো সেবা পরিচালনা করলে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন এ উদ্যোগের ফলে দেশের ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী খরচে উন্নতমানের ইন্টারনেট সেবা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

আপডেট সময় ০৫:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার মূল্য আরও কমিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। গত ১৮ মে, রোববার বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ থেকে জারি করা একটি পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

বিটিআরসি জানায়, ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ সাধারণ মানুষের নাগালে আনতে একটি গ্রাহকবান্ধব ও বাস্তবভিত্তিক ট্যারিফ কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) এর জন্য প্রযোজ্য হবে। প্রণীত খসড়াটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাধ্যমে সরকারের অনুমোদন পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন ট্যারিফ অনুযায়ী, ৫ এমবিপিএস সংযোগে মাসিক বিল ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে ১০ এমবিপিএস সংযোগে ৮০০ টাকার পরিবর্তে ৭০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস সংযোগে ১২০০ টাকার পরিবর্তে ১১০০ টাকা বিল দিতে হবে গ্রাহকদের।

বিটিআরসির পরিপত্র অনুযায়ী, এই ট্যারিফ কাঠামো ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়ে প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে। পরবর্তীতে কমিশনের অনুমোদন ব্যতীত এটি পরিবর্তন করা যাবে না, তবে বাজার পরিস্থিতি ও গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় কমিশন যেকোনো সময় তা সংশোধন করতে পারবে।

সেবার মান নিশ্চিত করতে গ্রেড এ, বি ও সি মোতাবেক নির্ধারিত মান বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গ্রাহক যদি পরপর পাঁচ দিন ইন্টারনেট সেবা না পান, তাহলে সংশ্লিষ্ট মাসে বিলের ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন। ১০ দিন সেবা না পেলে ২৫ শতাংশ এবং টানা ১৫ দিন না পেলে সে মাসের সম্পূর্ণ বিল মওকুফ করা হবে।

ট্যারিফ অনুযায়ী, সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে কমিশনের অনুমোদিত চার্জ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়া অনুমোদনহীন কোনো সেবা পরিচালনা করলে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন এ উদ্যোগের ফলে দেশের ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীরা সাশ্রয়ী খরচে উন্নতমানের ইন্টারনেট সেবা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।