ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং সিলেট সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় দেড় এক কোটির চোরাই পণ্য জব্দ যশোর-চুয়াডাঙ্গা রুটে তিন দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা সিরাজগঞ্জে মাত্র ২ মিনিটের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, লণ্ডভণ্ড ৪ গ্রাম চাকরি না পেয়ে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম চাষে রাজবাড়ীর এনামুল হক সজিবের সাফল্য যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫ দেশে প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে ইসি কোম্পানীগঞ্জে জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো যুবকের মরদেহ পাসপোর্ট সংশোধনে প্রবাসীদের দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের জরুরি নির্দেশনা বিদ্যুৎখাত সংক্রান্ত সব ধরনের চুক্তি পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষাঙ্গনকে দুর্বৃত্তায়নমুক্ত করতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশযাত্রা তদন্তে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 29

ছবি সংগৃহীত

 

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়টি তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব দিক পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে কমিটি।

রোববার (১১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৭ মে রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়েন টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদ। এরপরই তার দেশত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ও প্রশ্ন ওঠে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

তদন্তকালে কমিটি যে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে সরকার-
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন; এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না; কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করবে তদন্ত কমিটি।

তদন্তকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য কমিটি প্রয়োজনীয় সব দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি, সাক্ষ্য-প্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সব সংস্থা কমিটির দেওয়া নির্দেশনাবলি পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে। কমিটি ইচ্ছা করলে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশযাত্রা তদন্তে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি

আপডেট সময় ০৮:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের বিষয়টি তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব দিক পর্যালোচনা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে কমিটি।

রোববার (১১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারকে সভাপতি করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৭ মে রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছাড়েন টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে থাকা আবদুল হামিদ। এরপরই তার দেশত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক ও প্রশ্ন ওঠে। এ ঘটনায় এরই মধ্যে চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

তদন্তকালে কমিটি যে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে সরকার-
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে কীভাবে বিদেশ গমন করেছেন; এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ও গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে কি না; কারা কোন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তা নির্ধারণ করা এবং সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে সম্পর্কে সুপারিশ পেশ করবে তদন্ত কমিটি।

তদন্তকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য কমিটি প্রয়োজনীয় সব দলিলপত্র, যন্ত্রপাতি, সাক্ষ্য-প্রমাণ চাইতে পারবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাৎ গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সব সংস্থা কমিটির দেওয়া নির্দেশনাবলি পালন করবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে। কমিটি ইচ্ছা করলে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।