ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভুয়া মামলার প্রবণতা রোধে সিআরপিসিতে নতুন ধারা যুক্ত হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা বরিশালে পলিথিন প্যাঁচানো হাত পা বাঁধা নারী উদ্ধার ভারতের উত্তরাখণ্ড ভূমিধসে ৯ শ্রমিক নিখোঁজ, চলছে উদ্ধার অভিযান আজ অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন এনবিআরের আন্দোলনকারীরা শেরপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ৮ ঘন্টা পর উদ্ধার, নারী আটক জৈন্তাপুর ৭টি ভারতীয় মহিষ আটক করলো পুলিশ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম এক মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, দেশের বাজারেও কমলো মূল্য ইসরাইলে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে ফের বিক্ষোভ, সাহসী সিদ্ধান্তের আহ্বান ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে: বিএনপি নেতা রিজভী ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিল সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তর

ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগে দুর্নীতির অভিযোগ: তদন্তে আদালতের নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর প্রসিকিউশন বিভাগে ঘুষ লেনদেন ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এই নির্দেশ দেন। তিনি ‘পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঘুষের গোপন মিশন’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে আদেশ জারি করেন।

আদেশে বলা হয়, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের অধীনে জি আর (জেনারেল রেজিস্টার) শাখায় মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র আটকে রেখে বিচারপ্রার্থী নাগরিকদের কাছ থেকে গোপনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে হাজতখানায় বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা খাবার দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রেও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

আদালতের আদেশে এসব অভিযোগকে গুরুতর উল্লেখ করে বলা হয়, এসব অনিয়ম প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এজন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন ঢাকার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. হুমায়ুন কবির, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) রাশেদ হোসেন পরাগ।

প্রসঙ্গত, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগ থাকলেও সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদটির মাধ্যমে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। আদালতের এই পদক্ষেপের ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

তদন্ত কমিটি যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করলে এবং আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ডিএমপির অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন ও বিচারপ্রার্থী জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার পথে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগে দুর্নীতির অভিযোগ: তদন্তে আদালতের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৩:১৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-এর প্রসিকিউশন বিভাগে ঘুষ লেনদেন ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এই নির্দেশ দেন। তিনি ‘পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঘুষের গোপন মিশন’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে ২৯ এপ্রিল প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে আদেশ জারি করেন।

আদেশে বলা হয়, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের অধীনে জি আর (জেনারেল রেজিস্টার) শাখায় মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র আটকে রেখে বিচারপ্রার্থী নাগরিকদের কাছ থেকে গোপনে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে হাজতখানায় বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা খাবার দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রেও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

আদালতের আদেশে এসব অভিযোগকে গুরুতর উল্লেখ করে বলা হয়, এসব অনিয়ম প্রতিরোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। এজন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবেন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন ঢাকার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. হুমায়ুন কবির, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) রাশেদ হোসেন পরাগ।

প্রসঙ্গত, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগ থাকলেও সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদটির মাধ্যমে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। আদালতের এই পদক্ষেপের ফলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

তদন্ত কমিটি যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল করলে এবং আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে ডিএমপির অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন ও বিচারপ্রার্থী জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার পথে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।