বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় প্রথম ফিনল্যান্ড, অসুখীর তালিকায় প্রথম আফগানিস্তান- বাংলাদেশের অবস্থান কত?

- আপডেট সময় ০৪:০৪:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
- / 34
প্রতিবছরের মতো এবারও প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকা। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১৪৭টি দেশের মধ্যে রয়েছে ১৩৪তম অবস্থানে। আগের বছর যেখানে ১৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৯তম, সেখানে এবার আরও নিচে নেমে গেছে দেশটি। ২০২৩ সালে এই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ছিল ১১৮তম। অর্থাৎ, কয়েক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমাগত অবনতি হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেকটাই পিছিয়ে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ১১৮তম, পাকিস্তান ১০৯তম, মিয়ানমার ১২৬তম, শ্রীলঙ্কা ১৩৩তম এবং নেপাল রয়েছে ৯২তম স্থানে। এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ তালিকার উপরের দিকের অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও বাংলাদেশ ক্রমশ নিচে নেমে যাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।
বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে টানা অষ্টমবারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ফিনল্যান্ড। এরপর যথাক্রমে রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, কোস্টা রিকা এবং নরওয়ে। এই দেশগুলো তাদের সামাজিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নাগরিক স্বাধীনতার দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে।
তালিকার ৮ম স্থানে রয়েছে ইসরায়েল, এরপর লুক্সেমবার্গ, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা এবং স্লোভেনিয়া। সুখী দেশের তালিকায় এ দেশগুলো বরাবরই নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
অন্যদিকে, সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে তালিকার একেবারে নিচে রয়েছে আফগানিস্তান। এরপরেই রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন এবং তৃতীয় স্থানে আছে লেবানন। এই দেশগুলোর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দারিদ্র্য ও সামাজিক অস্থিরতা তাদের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানকে চরমভাবে নিচে নামিয়ে দিয়েছে।
সুখী দেশের তালিকা তৈরিতে মানুষের জীবন নিয়ে সন্তুষ্টির মাত্রা, মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, নাগরিক সুবিধা, গড় আয়ু এবং দুর্নীতির হারসহ বিভিন্ন সূচক বিবেচনা করা হয়। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে গ্যালাপ অ্যানালিটিক্স সংস্থা এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সলিউশন নেটওয়ার্ক।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন নাগরিক সুখ ও কল্যাণে অগ্রসর হচ্ছে, তখন বাংলাদেশ কেন তালিকার নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে, তা ভাববার সময় এসেছে। সামাজিক নিরাপত্তা, দুর্নীতি রোধ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে দেশের অবস্থান আরও নাজুক হতে পারে।