ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইয়ামালকে ১০ গুণ বেশি বেতন দিতে চলেছে বার্সা: তরুণ তারকার জন্য বিশাল বিনিয়োগ ময়মনসিংহে বাণিজ্যিক আঙ্গুর চাষে সুমনের অভাবনীয় সাফল্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও বাড়বে তাপমাত্রা, ঢাকা থাকছে মেঘাচ্ছন্ন টিকিট জোগাড়ে প্রস্তুতি: ২ জুনের ট্রেন টিকিট আজ বিক্রি শুরু মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৯৭ অভিবাসী আটক: ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান মাইক্রোসফটে অভ্যন্তরীণ ইমেইলে “ফিলিস্তিন” শব্দ নিষিদ্ধ মার্কিন-বিরোধী উস্কানির অভিযোগ: হার্ভার্ডে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করল ট্রাম্প সরকারি দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের মজুরি বাড়লো: কার্যকর ১ জুলাই থেকে ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা

৬ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে ঐকমত্য কমিশনের আনুষ্ঠানিক চিঠি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / 37

ছবি: সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের রাজনৈতিক সংস্কার বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা সম্প্রতি ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে এই সুপারিশগুলো নিয়ে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। কমিশন, তারপর এই মতামতগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করবে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে সহায়ক হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, যখন যেই দলের মতামত পাওয়া যাবে, তখন থেকেই আলোচনা শুরু হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ১৩ মার্চের মধ্যে সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জানাবে। কোনো প্রশ্ন থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। কমিশন এ বিষয়ে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

ড. আলী রীয়াজ আরো জানান, সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংস্কারের ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ২৭টি, বিচার বিভাগে ২৩টি, জনপ্রশাসনে ২৬টি, এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০টি সুপারিশ। তবে, পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করছে, তাদের সুপারিশগুলো প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

এবার প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানাতে বলা হয়েছে। তারা তিনটি অপশনের মধ্যে একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে পারবে: ‘একমত’, ‘একমত নই’, এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এছাড়া, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে। ছয়টি বিকল্পের মধ্যে দলগুলো যেকোনো একটিতে মতামত দিতে পারবে।

এছাড়া, নাগরিকদেরও গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে, এমনটি জানানো হয়েছে। এতে রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে আলোচনা আরও গতিশীল হবে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় নতুন দিক উন্মোচন করতে চলেছে, যা আগামী দিনে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে সহায়ক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

৬ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে ঐকমত্য কমিশনের আনুষ্ঠানিক চিঠি

আপডেট সময় ০২:১৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের রাজনৈতিক সংস্কার বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা সম্প্রতি ছয়টি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে এই সুপারিশগুলো নিয়ে তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। কমিশন, তারপর এই মতামতগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করবে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে সহায়ক হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ সোমবার (১০ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, যখন যেই দলের মতামত পাওয়া যাবে, তখন থেকেই আলোচনা শুরু হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ১৩ মার্চের মধ্যে সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত জানাবে। কোনো প্রশ্ন থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। কমিশন এ বিষয়ে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।

ড. আলী রীয়াজ আরো জানান, সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে সংবিধান সংস্কারের ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ২৭টি, বিচার বিভাগে ২৩টি, জনপ্রশাসনে ২৬টি, এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০টি সুপারিশ। তবে, পুলিশ সংস্কার কমিশন মনে করছে, তাদের সুপারিশগুলো প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

এবার প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানাতে বলা হয়েছে। তারা তিনটি অপশনের মধ্যে একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে পারবে: ‘একমত’, ‘একমত নই’, এবং ‘আংশিকভাবে একমত’। এছাড়া, প্রতিটি সুপারিশের বিষয়ে সংস্কারের সময়কাল ও বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর মতামত চাওয়া হয়েছে। ছয়টি বিকল্পের মধ্যে দলগুলো যেকোনো একটিতে মতামত দিতে পারবে।

এছাড়া, নাগরিকদেরও গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে, এমনটি জানানো হয়েছে। এতে রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে আলোচনা আরও গতিশীল হবে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ায় নতুন দিক উন্মোচন করতে চলেছে, যা আগামী দিনে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে সহায়ক হবে।