ঢাকা ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

রাজনৈতিক দলসমূহ যদি সীমিত সংস্কারে রাজি হয়, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, নির্ভুল ও উত্সবমুখর: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 46

ছবি: সংগৃহীত

 

আগামী জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংস্কারে সম্মত হলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে। তবে বৃহৎ পরিসরে সংস্কার প্রয়োজন হলে নির্বাচন কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।

মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। বৈঠকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, নির্বাচনী পরিবেশ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এবারের নির্বাচন অতীতের তুলনায় আরও বেশি স্বতঃস্ফূর্ত হবে। জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে একমত হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলার ভিত্তি তৈরি করবে।”

সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান এবং সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রত্যাশা করে।

বৈঠকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়। পিটার্স জানান, মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রভাব ফেলেছে।

প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। “ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, ধর্মীয় নয়। সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।”

তিনি মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদেরও আমন্ত্রণ জানান। “যদি তারা বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন, তাহলে এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতির বাস্তব চিত্র দেখতে পারবেন। আমরা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছি এবং এর বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা চাই।”

বৈঠকে সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় নেতা বিশ্বের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজনৈতিক দলসমূহ যদি সীমিত সংস্কারে রাজি হয়, তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, নির্ভুল ও উত্সবমুখর: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৩:৩৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

আগামী জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংস্কারে সম্মত হলে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে। তবে বৃহৎ পরিসরে সংস্কার প্রয়োজন হলে নির্বাচন কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।

মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। বৈঠকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, নির্বাচনী পরিবেশ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এবারের নির্বাচন অতীতের তুলনায় আরও বেশি স্বতঃস্ফূর্ত হবে। জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে একমত হলে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথচলার ভিত্তি তৈরি করবে।”

সিনেটর পিটার্স অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান এবং সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রত্যাশা করে।

বৈঠকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়। পিটার্স জানান, মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা সম্প্রতি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রভাব ফেলেছে।

প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন, বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। “ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল, ধর্মীয় নয়। সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে।”

তিনি মার্কিন সিনেটরকে বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান এবং অন্যান্য মার্কিন রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদেরও আমন্ত্রণ জানান। “যদি তারা বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন, তাহলে এখানে ধর্মীয় সম্প্রীতির বাস্তব চিত্র দেখতে পারবেন। আমরা ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছি এবং এর বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা চাই।”

বৈঠকে সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং ক্ষুদ্রঋণের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় নেতা বিশ্বের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।