ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারাদেশে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২১ জন সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত ৫৫ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে: অন্তর্বর্তী সরকার ট্রাম্প প্রশাসন পুড়িয়ে ফেলছে ৫০০ টন জরুরি খাদ্য গোপালগঞ্জ যেন মুজিববাদীদের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে: ঘোষণা নাহিদ ইসলামের গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও দেশব্যাপী ব্লকেড কর্মসূচির ডাক এনসিপির উত্তেজনায় রণক্ষেত্রে পরিণত গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা রাজনৈতিক নয়, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে: ডিএমপি গল্প দিয়ে ইতিহাস লেখা যায় না: জাতীয় প্রেসক্লাবে ড. মঈন খানের হুঁশিয়ারি চুয়াডাঙ্গায় জমি বিরোধ নিয়ে পৃথক দুই হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

গভীর শ্রদ্ধায় ও রাষ্ট্রীয় শোকে আজ পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

আজ বুধবার, ১৬ জুলাই, দেশের সর্বস্তরে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’। ১৯৭২ সালের এই দিনে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনালগ্নে রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাহসী যুবক আবু সাঈদ। তাঁর আত্মত্যাগের স্মরণে সরকার ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। মসজিদে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা।

প্রসঙ্গত, গত বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ। এতে বলা হয়, প্রতি বছর ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং এই দিবসকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই দিবস শুধু একজন শহীদের স্মৃতিকে নয়, বরং গণতন্ত্র, অধিকার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে—এমনটাই আশা করছে জাতি।

রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শহীদ আবু সাঈদের মতো সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গভীর শ্রদ্ধায় ও রাষ্ট্রীয় শোকে আজ পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’

আপডেট সময় ১১:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

আজ বুধবার, ১৬ জুলাই, দেশের সর্বস্তরে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’। ১৯৭২ সালের এই দিনে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনালগ্নে রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাহসী যুবক আবু সাঈদ। তাঁর আত্মত্যাগের স্মরণে সরকার ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। মসজিদে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা।

প্রসঙ্গত, গত বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ। এতে বলা হয়, প্রতি বছর ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং এই দিবসকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই দিবস শুধু একজন শহীদের স্মৃতিকে নয়, বরং গণতন্ত্র, অধিকার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে—এমনটাই আশা করছে জাতি।

রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শহীদ আবু সাঈদের মতো সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।