০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
কেনিয়ায় ছোট যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, ১২ জনের সবাই নিহত হওয়ার আশঙ্কা ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ — এআই-চালিত “Grokipedia” চালু বিপুল সংখ্যক জামিন দেওয়ায় ৩ বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে আনসার থাকবে ১৩ জন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার।

গভীর শ্রদ্ধায় ও রাষ্ট্রীয় শোকে আজ পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

আজ বুধবার, ১৬ জুলাই, দেশের সর্বস্তরে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’। ১৯৭২ সালের এই দিনে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনালগ্নে রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাহসী যুবক আবু সাঈদ। তাঁর আত্মত্যাগের স্মরণে সরকার ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। মসজিদে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গত বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ। এতে বলা হয়, প্রতি বছর ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং এই দিবসকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই দিবস শুধু একজন শহীদের স্মৃতিকে নয়, বরং গণতন্ত্র, অধিকার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে—এমনটাই আশা করছে জাতি।

রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শহীদ আবু সাঈদের মতো সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গভীর শ্রদ্ধায় ও রাষ্ট্রীয় শোকে আজ পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’

আপডেট সময় ১১:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

আজ বুধবার, ১৬ জুলাই, দেশের সর্বস্তরে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’। ১৯৭২ সালের এই দিনে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সূচনালগ্নে রংপুরে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সাহসী যুবক আবু সাঈদ। তাঁর আত্মত্যাগের স্মরণে সরকার ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। মসজিদে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাঁদের আত্মার শান্তির জন্য আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, গত বছর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানিয়া আফরোজ। এতে বলা হয়, প্রতি বছর ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং এই দিবসকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এই দিবস শুধু একজন শহীদের স্মৃতিকে নয়, বরং গণতন্ত্র, অধিকার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে—এমনটাই আশা করছে জাতি।

রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হওয়ায় বিভিন্ন মহলে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শহীদ আবু সাঈদের মতো সংগ্রামীদের আত্মত্যাগকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে ও গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক হবে।