০৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তেল উত্তোলন করছে SDF/YPG, AANES

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মতপার্থক্য নেই, ভবিষ্যতে গণভোটে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো মতভেদ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের আলোচনা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের অভিমত উপস্থাপন করেন কমিশনের এই শীর্ষ নেতা।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্তর্ভুক্তির পর ভবিষ্যতে এ ব্যবস্থা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোট অপরিহার্য হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন সে বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা তৈরি হবে।

আলোচনায় সংবিধান সংশোধন বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় অথবা তা গঠনের পূর্ব পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন হবে। তবে সংবিধানের বিশেষ কিছু অনুচ্ছেদ যেমন রাষ্ট্রের মূলনীতি, অনুচ্ছেদ ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংক্রান্ত ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ ও ৫৮ঙ অনুচ্ছেদ সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোট প্রয়োজন হবে।”

দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের প্রস্তাবেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোটের সমর্থন রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে এ ব্যবস্থার গঠনতন্ত্র নিয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

“কোনো দল চায় ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠিত হোক, আবার কেউ চায় আসনের অনুপাতে। এই মতভেদ দূর না হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে,” বলেন তিনি।

কমিশন আশা করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও এবি পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মতপার্থক্য নেই, ভবিষ্যতে গণভোটে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ১১:১৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো মতভেদ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ভবিষ্যতে এই ব্যবস্থা পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে গণভোটের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৪তম দিনের আলোচনা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের অভিমত উপস্থাপন করেন কমিশনের এই শীর্ষ নেতা।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্তর্ভুক্তির পর ভবিষ্যতে এ ব্যবস্থা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোট অপরিহার্য হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে।”

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী সপ্তাহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন সে বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা তৈরি হবে।

আলোচনায় সংবিধান সংশোধন বিষয়ে কিছু অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি উচ্চকক্ষ গঠিত না হয় অথবা তা গঠনের পূর্ব পর্যন্ত সংবিধান সংশোধনের জন্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সম্মতি প্রয়োজন হবে। তবে সংবিধানের বিশেষ কিছু অনুচ্ছেদ যেমন রাষ্ট্রের মূলনীতি, অনুচ্ছেদ ৪৮, ৫৬, ১৪২ এবং তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংক্রান্ত ৫৮খ, ৫৮গ, ৫৮ঘ ও ৫৮ঙ অনুচ্ছেদ সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোট প্রয়োজন হবে।”

দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠনের প্রস্তাবেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোটের সমর্থন রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তবে এ ব্যবস্থার গঠনতন্ত্র নিয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে।

“কোনো দল চায় ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠিত হোক, আবার কেউ চায় আসনের অনুপাতে। এই মতভেদ দূর না হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে,” বলেন তিনি।

কমিশন আশা করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আজকের আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও এবি পার্টিসহ মোট ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।