গণমাধ্যম সংস্কারে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে সরকার: প্রেস সচিব

- আপডেট সময় ০৪:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
- / 5
বিগত ১৫ বছরে দেশে সাংবাদিকতা কেমন হয়েছে, তার পূনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে সরকার।
শনিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডেইলি স্টার ভবনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) উদ্যোগে গণমাধ্যম কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিকরা দেশের গণমাধ্যম খাতের বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট তুলে ধরেন। তারা বলেন, গণমাধ্যমকে বারবার দলীয় প্রভাবের মুখে পড়তে হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দলীয় পরিচয়ে গণমাধ্যমের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ফলে মুক্ত সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে লাইসেন্স প্রক্রিয়া ও ব্যবসায়িক নীতিতে সংস্কারের দাবি জানান তারা।
এ সময় অনেক সাংবাদিকের নামে দায়ের করা হত্যা মামলার সমালোচনা করেন আলোচকরা। পাশাপাশি গণমাধ্যম কমিশনের দেওয়া সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “বিগত সরকারের সময়ে নিয়ন্ত্রিত সাংবাদিকতা চালু ছিল, যা থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন সাংবাদিকতার ভিত্তি তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ কারণেই গত ১৫ বছরে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, তা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে যাচাই করার পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতার পেশায় প্রবেশের সময় ন্যূনতম বেতন ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এতে সাংবাদিকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা গণমাধ্যম সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনের সুপারিশ দ্রুত কার্যকর করার ওপর জোর দেন। তারা বলেন, গণমাধ্যমে দলীয় হস্তক্ষেপ এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের কারণে পেশাগত মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সত্যনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা অনেক সময়ই বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বিজেসি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় চার মাস আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশকৃত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে এবং পেশাদারিত্ব রক্ষায় কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।