ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বাজেটে জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন নেই: ফরহাদ মজহার পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৮০ হাজার জাল ডলারসহ ৬ জন আটক গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৪৮ জন, মৃত্যু নেই মেসির জার্সি বিক্রিতে রেকর্ড, তালিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাভানও ব্যাংক খাতে লুটপাট ঘটলেও আইনের সীমাবদ্ধতায় তা প্রকাশ হয়নি: আইসিএবির সাবেক সভাপতি নারায়ণগঞ্জে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করলো বাবা-মা নতুন ৩ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) দলে নারী নেতৃত্ব বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চলছে : এনসিপি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান যুক্ত হচ্ছে: নির্বাচন কমিশনার ৫ আগস্ট হবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দিবস, ঘোষণা সরকারি ছুটির: উপদেষ্টা ফারুকী

লিবিয়া থেকে ফেরত এলেন আটকেপড়া আরও ১২৩ বাংলাদেশি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে লিবিয়ায় আটকেপড়া ১২৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর যৌথ উদ্যোগে তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বুরাক এয়ারের (ফ্লাইট নম্বর ইউজেড ০২২২) একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার থেকে তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএম কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।

ফেরত আসা বাংলাদেশিদের অধিকাংশই মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর তারা নানা ধরনের অপহরণ, নির্যাতন এবং অনিশ্চয়তা ও ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি হন। এসব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ত্রিপোলি অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেক নাগরিককে আইওএমের পক্ষ থেকে ৬ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা, কিছু খাদ্যসামগ্রী, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই ভয়াবহ পথ আর যেন কেউ না বেছে নেয়, সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় শুধু নিজের জীবন নয়, পরিবারও চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।”

এর আগে গত মঙ্গলবারও লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৫৮ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। চলমান এ ধরনের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের মাধ্যমে লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে থাকা আরও বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সরকারের এই উদ্যোগ মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতার নিদর্শন হয়ে উঠেছে বলে অভিবাসন সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত।

নিউজটি শেয়ার করুন

লিবিয়া থেকে ফেরত এলেন আটকেপড়া আরও ১২৩ বাংলাদেশি

আপডেট সময় ০৩:০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

 

অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে লিবিয়ায় আটকেপড়া ১২৩ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর যৌথ উদ্যোগে তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বুরাক এয়ারের (ফ্লাইট নম্বর ইউজেড ০২২২) একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার থেকে তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইওএম কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।

ফেরত আসা বাংলাদেশিদের অধিকাংশই মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর তারা নানা ধরনের অপহরণ, নির্যাতন এবং অনিশ্চয়তা ও ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি হন। এসব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ত্রিপোলি অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএম ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেক নাগরিককে আইওএমের পক্ষ থেকে ৬ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা, কিছু খাদ্যসামগ্রী, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই ভয়াবহ পথ আর যেন কেউ না বেছে নেয়, সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা এখন সময়ের দাবি। অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টায় শুধু নিজের জীবন নয়, পরিবারও চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।”

এর আগে গত মঙ্গলবারও লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৫৮ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। চলমান এ ধরনের প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের মাধ্যমে লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে থাকা আরও বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সরকারের এই উদ্যোগ মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতার নিদর্শন হয়ে উঠেছে বলে অভিবাসন সংশ্লিষ্ট মহলের মতামত।