ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

আজ বিশ্ব চা দিবস: এক কাপ চায়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভালোবাসা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 60

ছবি সংগৃহীত

 

আজ ২১ মে, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে চা প্রেমীদের অন্যতম প্রিয় দিন বিশ্ব চা দিবস। সকালবেলা ঘুম ভাঙার পর কিংবা ব্যস্ত কর্মদিবসে একটু প্রশান্তি খুঁজতে আমাদের ভরসা সেই পরিচিত সঙ্গী, এক কাপ চা। চাইলে আজকের দিনটিকে ঘিরে হতে পারে চা আড্ডা, কিংবা ঘরোয়া আয়োজনেই উদযাপন।

বিশ্বজুড়ে চায়ের জনপ্রিয়তা বিস্ময়কর। গবেষণা বলছে, প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও প্রায় ২৫ হাজার কাপ চা পান করা হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় দুই বিলিয়নের বেশি কাপ চা শেষ করেন মানুষ। এমন পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, চা শুধু পানীয় নয় এ এক বিশ্বজনীন অনুভূতির নাম।

২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে চা দিবস উদযাপন শুরু হয়। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডার মতো প্রধান চা উৎপাদনকারী দেশগুলোর উদ্যোগে এই দিনটি পালিত হয়। পরে ২০১৯ সালের ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং একই বছরের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ এ সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দেয়। এরপর ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্ব চা দিবস উদযাপন করে।

চায়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ভারত ও চীনে চায়ের গ্রহণযোগ্যতা অসাধারণ, যারা মিলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৭ শতাংশ। ধারণা করা হয়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চা পানকারীর সংখ্যাও বাড়বে।

চায়ের ইতিহাসও কম রোমাঞ্চকর নয়। প্রাচীন চীন থেকেই চায়ের সূচনা। প্রায় ৫ হাজার বছর আগে এক চীনা সম্রাট গাছতলায় বসে গরম পানি পান করছিলেন, হঠাৎ কিছু শুকনো পাতা সেই পানিতে পড়ে যায়। পাতা-ভেজা সেই পানীয় পান করে সম্রাট মুগ্ধ হয়ে যান। সেখান থেকেই গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের বন্ধন শুরু বলে মনে করা হয়।

চা পাতার আধুনিক সংস্করণ আসে ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস নামের উদ্ভিদ থেকে। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতেই এশিয়ায় গরম চা পান শুরু হয়। তবে ইউরোপে চা পৌঁছায় ষোড়শ শতাব্দীর আগে নয়। ১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণির মধ্যে চায়ের প্রেম জন্ম নেয়, যা ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

ব্রিটিশ ভারতে চায়ের উৎপাদন শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে এটি শুধু পানীয় নয়, একটি বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত শিল্পে রূপ নেয়।

আজকের দিনে তাই এক কাপ চা শুধু স্বাদের নয়, বরং ইতিহাস, ঐতিহ্য আর আন্তরিকতার গল্পও বয়ে আনে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আজ বিশ্ব চা দিবস: এক কাপ চায়ে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভালোবাসা

আপডেট সময় ১২:১৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

আজ ২১ মে, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে চা প্রেমীদের অন্যতম প্রিয় দিন বিশ্ব চা দিবস। সকালবেলা ঘুম ভাঙার পর কিংবা ব্যস্ত কর্মদিবসে একটু প্রশান্তি খুঁজতে আমাদের ভরসা সেই পরিচিত সঙ্গী, এক কাপ চা। চাইলে আজকের দিনটিকে ঘিরে হতে পারে চা আড্ডা, কিংবা ঘরোয়া আয়োজনেই উদযাপন।

বিশ্বজুড়ে চায়ের জনপ্রিয়তা বিস্ময়কর। গবেষণা বলছে, প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও প্রায় ২৫ হাজার কাপ চা পান করা হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় দুই বিলিয়নের বেশি কাপ চা শেষ করেন মানুষ। এমন পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে, চা শুধু পানীয় নয় এ এক বিশ্বজনীন অনুভূতির নাম।

২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকভাবে চা দিবস উদযাপন শুরু হয়। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডার মতো প্রধান চা উৎপাদনকারী দেশগুলোর উদ্যোগে এই দিনটি পালিত হয়। পরে ২০১৯ সালের ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং একই বছরের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ এ সিদ্ধান্তকে অনুমোদন দেয়। এরপর ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্ব চা দিবস উদযাপন করে।

চায়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ভারত ও চীনে চায়ের গ্রহণযোগ্যতা অসাধারণ, যারা মিলে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৭ শতাংশ। ধারণা করা হয়, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চা পানকারীর সংখ্যাও বাড়বে।

চায়ের ইতিহাসও কম রোমাঞ্চকর নয়। প্রাচীন চীন থেকেই চায়ের সূচনা। প্রায় ৫ হাজার বছর আগে এক চীনা সম্রাট গাছতলায় বসে গরম পানি পান করছিলেন, হঠাৎ কিছু শুকনো পাতা সেই পানিতে পড়ে যায়। পাতা-ভেজা সেই পানীয় পান করে সম্রাট মুগ্ধ হয়ে যান। সেখান থেকেই গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের বন্ধন শুরু বলে মনে করা হয়।

চা পাতার আধুনিক সংস্করণ আসে ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস নামের উদ্ভিদ থেকে। খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতেই এশিয়ায় গরম চা পান শুরু হয়। তবে ইউরোপে চা পৌঁছায় ষোড়শ শতাব্দীর আগে নয়। ১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণির মধ্যে চায়ের প্রেম জন্ম নেয়, যা ধীরে ধীরে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

ব্রিটিশ ভারতে চায়ের উৎপাদন শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে এটি শুধু পানীয় নয়, একটি বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত শিল্পে রূপ নেয়।

আজকের দিনে তাই এক কাপ চা শুধু স্বাদের নয়, বরং ইতিহাস, ঐতিহ্য আর আন্তরিকতার গল্পও বয়ে আনে।