ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আশানুরূপ উন্নতি হয়নি আইনশৃঙ্খলার : রিজভী জাতিসংঘ মানবাধিকার রক্ষায় কার্যকর ভাবে কাজ করতে চায় : ফরিদা আখতার হাতিয়ায় বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত আওয়ামীলীগের চৌদ্দগোষ্ঠীরও ক্ষমতা হবে না আমাদের কেনার : তাজুল ইসলাম মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ-বাড়িঘর ভাঙচুর, ১৪৪ ধারা জারি ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে সম্মেলনে,যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সনদের প্রাথমিক খসড়া কমিশন তৈরি করেছে সোমবার দলগুলো হাতে পাবে : আলী রীয়াজ নোয়াখালীর এক পুকুর থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবে সম্মত হলেও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে মৃত্যু থামছে না সমাজে ছেয়ে গেছে সন্ত্রাস : নাহিদ ইসলাম

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 95

ছবি সংগৃহীত

 

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঐতিহাসিক ঠাকুরবাড়িতে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ, ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৮ মে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ তার ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। বিশ্বকবির জন্মদিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে এই নোবেলজয়ী সাহিত্যিককে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু একজন কবি ছিলেন না, ছিলেন গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, গীতিকার ও সংগীতস্রষ্টা। তার রচনার প্রভাবে বাংলা সাহিত্য পেয়েছে এক অসাধারণ উচ্চতা, যা বাংলা সংস্কৃতিকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ব দরবারে। জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের প্রখ্যাত ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মা সারদাসুন্দরী দেবী। মাত্র আট বছর বয়সেই কবিতা লেখা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৯১ সালে বাবার নির্দেশে নদিয়া, পাবনা, রাজশাহী ও ওড়িশার জমিদারি তদারকির দায়িত্ব নেন। এ সময় কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন, যেখানে সৃষ্টি করেছেন বহু কালজয়ী সাহিত্যকর্ম।

১৯০১ সালে তিনি পরিবারসহ বোলপুরের শান্তিনিকেতনে চলে আসেন, যেখানে পরবর্তীতে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন। তার জীবদ্দশা ও মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৮টি নাটক, ৩৬টি প্রবন্ধগ্রন্থ এবং বহু গদ্যসংকলন। তার অসংখ্য গান বাঙালির চেতনায় গাঁথা।

এবার কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীর প্রধান অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে। পাশাপাশি নওগাঁর পতিসর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে আয়োজন করা হয়েছে রবীন্দ্রমেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বাংলা একাডেমি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে আয়োজিত হয়েছে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা, যেখানে থাকবে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি, চিত্রপ্রদর্শনী ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।

বিশ্বকবির স্মৃতিকে ধারণ করে তার অগণিত ভক্ত আজও অনুপ্রাণিত হন তার সাহিত্য ও জীবনদর্শন থেকে। বৈশাখের এই দিনে বাঙালি জাতি আরও একবার তার প্রতি জানায় গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ

আপডেট সময় ১২:২১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঐতিহাসিক ঠাকুরবাড়িতে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ, ইংরেজি ১৮৬১ সালের ৮ মে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ তার ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। বিশ্বকবির জন্মদিনে জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে এই নোবেলজয়ী সাহিত্যিককে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু একজন কবি ছিলেন না, ছিলেন গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, গীতিকার ও সংগীতস্রষ্টা। তার রচনার প্রভাবে বাংলা সাহিত্য পেয়েছে এক অসাধারণ উচ্চতা, যা বাংলা সংস্কৃতিকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ব দরবারে। জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের প্রখ্যাত ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মা সারদাসুন্দরী দেবী। মাত্র আট বছর বয়সেই কবিতা লেখা শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ। ১৮৯১ সালে বাবার নির্দেশে নদিয়া, পাবনা, রাজশাহী ও ওড়িশার জমিদারি তদারকির দায়িত্ব নেন। এ সময় কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন, যেখানে সৃষ্টি করেছেন বহু কালজয়ী সাহিত্যকর্ম।

১৯০১ সালে তিনি পরিবারসহ বোলপুরের শান্তিনিকেতনে চলে আসেন, যেখানে পরবর্তীতে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন। তার জীবদ্দশা ও মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৮টি নাটক, ৩৬টি প্রবন্ধগ্রন্থ এবং বহু গদ্যসংকলন। তার অসংখ্য গান বাঙালির চেতনায় গাঁথা।

এবার কবিগুরুর জন্মবার্ষিকীর প্রধান অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে। পাশাপাশি নওগাঁর পতিসর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে আয়োজন করা হয়েছে রবীন্দ্রমেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বাংলা একাডেমি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে আয়োজিত হয়েছে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা, যেখানে থাকবে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি, চিত্রপ্রদর্শনী ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।

বিশ্বকবির স্মৃতিকে ধারণ করে তার অগণিত ভক্ত আজও অনুপ্রাণিত হন তার সাহিত্য ও জীবনদর্শন থেকে। বৈশাখের এই দিনে বাঙালি জাতি আরও একবার তার প্রতি জানায় গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।