ঢাকা ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আমাদের জবাব হবে কঠোর ও চূড়ান্ত: খামেনি ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা সোহায়েল গুম মামলায় গ্রেপ্তার, কারাগারে প্রেরণ ঈদযাত্রায় সড়কে প্রতিদিন গড় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের: রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জাতীয় সংবিধানিক কাউন্সিল গঠনে একমত নাগরিক পার্টি, কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য: নাহিদ ইসলাম এসএসএফকে কাজ করতে হবে সব দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস-তারেক বৈঠকে আপত্তি একটি দলের, মন্তব্য মির্জা ফখরুলের শাহবাগ-পল্টন থানার দুই মামলায় আনিসুল হকসহ ৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর কুয়ালালামপুরে ফের গুলির ঘটনা, শপিংমলের সামনে ২ জনকে হত্যা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় বিশ্ববাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণ-রুপার দাম

ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদ তৈরিতে সবাইকে ছাড় দিতে হবে: ড. আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সবাইকে কিছুটা ছাড় দিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ। রবিবার (৪ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি কনফারেন্স হলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরুর আগে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য অত্যন্ত পরিষ্কার একটি সর্বজনগ্রাহ্য সনদ তৈরির জন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করা। আমরা চাই এমন একটি সনদ গঠিত হোক, যার পেছনে থাকবে সকলের সম্মিলিত মতামত ও সহযোগিতা।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলোর ভিত্তিতেই সনদের খসড়া তৈরি করা হবে। তবে ঐকমত্য গঠনে প্রতিটি পক্ষকেই সামান্য হলেও ছাড় দিতে হবে। কারণ কোনো পক্ষই যদি একচেটিয়া অবস্থানে থাকে, তাহলে জাতীয় ঐক্যের কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না।”

সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. রীয়াজ বলেন, “ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব শুধু কমিশনের নয়। আপনারা যারা সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন, তারাও মত প্রকাশের সময় এমন ভাষা ও ভঙ্গি ব্যবহার করুন, যাতে রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সমঝোতা বাড়ে।”

তিনি কমিশনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা কেবল অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছি। মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। আমরা চাই তারা একত্রে বসে দেশের স্বার্থে যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছাক।”

ড. রীয়াজ জানান, ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে আজকের সংলাপ ছিল প্রাথমিক আলোচনা। এ ধরনের আরও সংলাপ হবে, যেখানে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির এই উদ্যোগে সংলাপে অংশ নেওয়া নেতারাও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা জানান, রাজনৈতিক মতভেদ থাকা সত্ত্বেও জাতীয় স্বার্থে সবাইকে এক টেবিলে বসতে হবে।

সংলাপ শেষে ড. রীয়াজ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কেবল একটি সনদ নয়, বরং একটি ঐকমত্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এ যাত্রা সফল করতে হলে সকলের সদিচ্ছা ও গঠনমূলক অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐকমত্যের ভিত্তিতে সনদ তৈরিতে সবাইকে ছাড় দিতে হবে: ড. আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ১২:৪১:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সবাইকে কিছুটা ছাড় দিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ। রবিবার (৪ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি কনফারেন্স হলে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরুর আগে তিনি এই মন্তব্য করেন।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য অত্যন্ত পরিষ্কার একটি সর্বজনগ্রাহ্য সনদ তৈরির জন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করা। আমরা চাই এমন একটি সনদ গঠিত হোক, যার পেছনে থাকবে সকলের সম্মিলিত মতামত ও সহযোগিতা।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেগুলোর ভিত্তিতেই সনদের খসড়া তৈরি করা হবে। তবে ঐকমত্য গঠনে প্রতিটি পক্ষকেই সামান্য হলেও ছাড় দিতে হবে। কারণ কোনো পক্ষই যদি একচেটিয়া অবস্থানে থাকে, তাহলে জাতীয় ঐক্যের কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না।”

সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. রীয়াজ বলেন, “ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব শুধু কমিশনের নয়। আপনারা যারা সংবাদমাধ্যমে কাজ করেন, তারাও মত প্রকাশের সময় এমন ভাষা ও ভঙ্গি ব্যবহার করুন, যাতে রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সমঝোতা বাড়ে।”

তিনি কমিশনের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমরা কেবল অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছি। মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। আমরা চাই তারা একত্রে বসে দেশের স্বার্থে যৌথ সিদ্ধান্তে পৌঁছাক।”

ড. রীয়াজ জানান, ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে আজকের সংলাপ ছিল প্রাথমিক আলোচনা। এ ধরনের আরও সংলাপ হবে, যেখানে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টির এই উদ্যোগে সংলাপে অংশ নেওয়া নেতারাও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা জানান, রাজনৈতিক মতভেদ থাকা সত্ত্বেও জাতীয় স্বার্থে সবাইকে এক টেবিলে বসতে হবে।

সংলাপ শেষে ড. রীয়াজ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কেবল একটি সনদ নয়, বরং একটি ঐকমত্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। এ যাত্রা সফল করতে হলে সকলের সদিচ্ছা ও গঠনমূলক অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”