ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ: নিরাপদ জন্মের অঙ্গীকারে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’ নতুন প্রজন্মের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে বিশ্বজুড়ে একটি জোরালো বার্তা বহন করছে। বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে উদযাপিত হচ্ছে।

এই উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গ্রহণ করেছে নানামুখী কর্মসূচি। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা এবং সচেতনতা বাড়ানোই এবারের মূল লক্ষ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক গুরুত্বপূর্ণ বাণীতে বলেন, “নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নে দেশের প্রতিটি স্তরে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার এখনো দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এই হার কমাতে আরও কার্যকর কর্মসূচি, সচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সিদ্ধান্তে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলনের আয়োজন হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দিনটি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রতি বছর একটি বিশেষ স্বাস্থ্য ইস্যু কেন্দ্র করে দিবসটি পালন করা হয়, যা বৈশ্বিকভাবে গুরুত্ব পায়। এ বছর মাতৃত্বকালীন নিরাপত্তা ও শিশুর সুরক্ষা বিষয়ে ফোকাস করে বিশ্বজুড়ে নীতিনির্ধারক ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এ বছরের বার্তা তাই খুবই স্পষ্ট প্রত্যেকটি শিশুর জন্ম হোক নিরাপদ, আর প্রতিটি ভবিষ্যৎ হোক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও আলোকিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ: নিরাপদ জন্মের অঙ্গীকারে আলোকিত ভবিষ্যতের পথে

আপডেট সময় ১১:২৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’ নতুন প্রজন্মের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে বিশ্বজুড়ে একটি জোরালো বার্তা বহন করছে। বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে উদযাপিত হচ্ছে।

এই উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা গ্রহণ করেছে নানামুখী কর্মসূচি। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করা এবং সচেতনতা বাড়ানোই এবারের মূল লক্ষ্য।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক গুরুত্বপূর্ণ বাণীতে বলেন, “নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নে দেশের প্রতিটি স্তরে সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার এখনো দেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। এই হার কমাতে আরও কার্যকর কর্মসূচি, সচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সিদ্ধান্তে একটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলনের আয়োজন হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দিনটি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

প্রতি বছর একটি বিশেষ স্বাস্থ্য ইস্যু কেন্দ্র করে দিবসটি পালন করা হয়, যা বৈশ্বিকভাবে গুরুত্ব পায়। এ বছর মাতৃত্বকালীন নিরাপত্তা ও শিশুর সুরক্ষা বিষয়ে ফোকাস করে বিশ্বজুড়ে নীতিনির্ধারক ও জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে এ বছরের বার্তা তাই খুবই স্পষ্ট প্রত্যেকটি শিশুর জন্ম হোক নিরাপদ, আর প্রতিটি ভবিষ্যৎ হোক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও আলোকিত।