ঢাকা ০৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্তি আলোচনার মধ্যেই রক্তাক্ত লড়াই: ইউক্রেন-রাশিয়া হামলা-পাল্টা হামলায় হতাহতের মিছিল জাতীয় নির্বাচনের আগে ৯ দফা সংস্কারে ইসির দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলেন ইসি সচিব ঈদে বাড়বে যৌথবাহিনীর তৎপরতা, অপরাধ দমনে জিরো টলারেন্সে থাকবে সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শীর্ষ বৈঠকের সম্ভাবনা, ইউনূস-মোদি বৈঠকে ঢাকার আগ্রহ, দিল্লির সাড়া প্রতীক্ষায়: পররাষ্ট্রসচিব স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা  বাংলাদেশে আসছে ৯০ দিনের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেট: বাণিজ্যিক সম্প্রচারে বড় অগ্রগতি জীবদ্দশায় জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নিয়ম চালু করার প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান  গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আল-জাজিরাসহ দুই সাংবাদিক নিহত: জিএমওর তীব্র নিন্দা ভুতুড়ে টিআরপিতে বিপাকে টিভি চ্যানেল, জবাবদিহির দাবি গণমাধ্যম কমিশনের তামিম ইকবাল ভাল আছেন, শঙ্কা কিছুটা কমলেও সতর্ক থাকতে বললেন চিকিৎসকেরা

যাকাতের সঠিক বণ্টন: শরিয়তের নির্দেশনা ও বাস্তব চর্চা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

 

যাকাত ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। এটি শুধু সম্পদের পরিশুদ্ধি নয়, বরং সমাজের দরিদ্র, অসহায় ও অধিকারবঞ্চিত শ্রেণির মাঝে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মহান প্রক্রিয়া। পবিত্র কোরআনের সুরা তাওবা (আয়াত ৬০)-এ আল্লাহতায়ালা স্পষ্টভাবে যাকাত প্রদানের আটটি খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

এই আট শ্রেণি হলো ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী, নতুন মুসলিম, দাস মুক্তিকরণ, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামী এবং মুসাফির।

বর্তমানে অনেকেই না জেনে যাকাত এমন খাতে ব্যয় করেন, যেগুলো শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। যেমন কোনো প্রতিষ্ঠানে যাকাতের টাকা দিলে বা ঘর নির্মাণ, বিল পরিশোধ, স্কুল বেতন ইত্যাদি খাতে ব্যয় করলে যাকাত আদায় হয় না, কারণ এসব খাতে যাকাতগ্রহীতাকে ‘সম্পদের মালিক’ বানানো হয় না। যাকাতের মূল শর্ত হলো উপযুক্ত গরীব ব্যক্তিকে নিঃশর্তভাবে সম্পদের মালিক বানিয়ে দেওয়া।

নিজের বাবা-মা, সন্তান বা স্ত্রীর মতো ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন আত্মীয়দের যাকাত দেওয়া নিষিদ্ধ। তবে ভাই, বোন, চাচা, খালা, জামাই বা ভগ্নিপতিকে যাকাত দেওয়া যাবে, যদি তারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হন।

গরীব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ, দ্বীনি কাজ বা তাবলিগে পাঠাতে যাকাত ব্যবহার করা যায় যদি তাদের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অনেক আলেম বলেন, এতে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়।

এছাড়া কোনো গরীব কর্মচারীকে যাকাত দেওয়া গেলেও, তার মূল বেতনের জায়গায় যাকাত ব্যবহার করা শরিয়তসম্মত নয়। কারণ, বেতন তার হক যা যাকাত দ্বারা পূরণ করা যায় না।

যাকাত সমাজে সাম্য ও সহানুভূতি প্রতিষ্ঠার একটি মহান হাতিয়ার। তাই যাকাত প্রদানে সতর্কতা জরুরি যেন তা শরিয়তের নির্ধারিত পথে ব্যয় হয় এবং প্রকৃত প্রাপকের হাতে পৌঁছে যায়। তবেই যাকাত হবে কবুল, সমাজ হবে ন্যায়ের প্রতিচ্ছবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:২০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
৫০৬ বার পড়া হয়েছে

যাকাতের সঠিক বণ্টন: শরিয়তের নির্দেশনা ও বাস্তব চর্চা

আপডেট সময় ০৫:২০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

 

যাকাত ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। এটি শুধু সম্পদের পরিশুদ্ধি নয়, বরং সমাজের দরিদ্র, অসহায় ও অধিকারবঞ্চিত শ্রেণির মাঝে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মহান প্রক্রিয়া। পবিত্র কোরআনের সুরা তাওবা (আয়াত ৬০)-এ আল্লাহতায়ালা স্পষ্টভাবে যাকাত প্রদানের আটটি খাত নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

এই আট শ্রেণি হলো ফকির, মিসকিন, যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী, নতুন মুসলিম, দাস মুক্তিকরণ, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রামী এবং মুসাফির।

বর্তমানে অনেকেই না জেনে যাকাত এমন খাতে ব্যয় করেন, যেগুলো শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। যেমন কোনো প্রতিষ্ঠানে যাকাতের টাকা দিলে বা ঘর নির্মাণ, বিল পরিশোধ, স্কুল বেতন ইত্যাদি খাতে ব্যয় করলে যাকাত আদায় হয় না, কারণ এসব খাতে যাকাতগ্রহীতাকে ‘সম্পদের মালিক’ বানানো হয় না। যাকাতের মূল শর্ত হলো উপযুক্ত গরীব ব্যক্তিকে নিঃশর্তভাবে সম্পদের মালিক বানিয়ে দেওয়া।

নিজের বাবা-মা, সন্তান বা স্ত্রীর মতো ঊর্ধ্বতন ও অধস্তন আত্মীয়দের যাকাত দেওয়া নিষিদ্ধ। তবে ভাই, বোন, চাচা, খালা, জামাই বা ভগ্নিপতিকে যাকাত দেওয়া যাবে, যদি তারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হন।

গরীব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ, দ্বীনি কাজ বা তাবলিগে পাঠাতে যাকাত ব্যবহার করা যায় যদি তাদের মালিকানা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অনেক আলেম বলেন, এতে দ্বিগুণ সওয়াব পাওয়া যায়।

এছাড়া কোনো গরীব কর্মচারীকে যাকাত দেওয়া গেলেও, তার মূল বেতনের জায়গায় যাকাত ব্যবহার করা শরিয়তসম্মত নয়। কারণ, বেতন তার হক যা যাকাত দ্বারা পূরণ করা যায় না।

যাকাত সমাজে সাম্য ও সহানুভূতি প্রতিষ্ঠার একটি মহান হাতিয়ার। তাই যাকাত প্রদানে সতর্কতা জরুরি যেন তা শরিয়তের নির্ধারিত পথে ব্যয় হয় এবং প্রকৃত প্রাপকের হাতে পৌঁছে যায়। তবেই যাকাত হবে কবুল, সমাজ হবে ন্যায়ের প্রতিচ্ছবি।