ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বড় ধরনের অপরাধ বেড়েছে এমন অভিযোগের পেছনে কোনো শক্ত ভিত্তি নেই: প্রেস উইং শীর্ষ নেতৃত্বকে হেয় করতেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে ব্যবহার করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ফরিদপুরে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ ৫ সদস্য আটক ভৈরবে বাসচাপায় বিভাটেকের চালক-যাত্রী নিহত, আহত আরও ২ তারেক রহমানকে টার্গেট করে চলছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: রিজভী পাবনায় পুকুরে ভাসমান অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার সারাদেশে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নির্দেশনা দিয়ে মাউশির চিঠি চীনের সামরিক তৎপরতা ও খনিজ রপ্তানিতে উদ্বিগ্ন জাপান যশোরে দুটি ট্রাকের সংঘর্ষে ট্রাক চালক ও হেলপার নিহত গুপ্তচরবৃত্তিতে মৃত্যুদণ্ড ও সম্পত্তি জব্দের আইন পাস করলো ইরান

গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে নিহত আরও ৯৫, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৮ হাজার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 9

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ থেমে নেই। রোববার একটি ব্যস্ত বাজার এবং একটি পানি বিতরণ কেন্দ্রে চালানো প্রাণঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ২৬ জনে পৌঁছেছে।

গাজা সিটির একটি জনবহুল বাজারে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আহমেদ কান্দিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, বাজারটি হামলার সময় ভিড়ে ঠাসা ছিল।

এছাড়া মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি পানি বিতরণ কেন্দ্রের সামনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন, যাদের বেশিরভাগই শিশু। তারা সবাই পানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন, অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাজারে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও তারা দাবি করেছে, নুসাইরাত এলাকায় তারা এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। তবে একটি ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির’ কারণে ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায় বলে দাবি তাদের। এই বক্তব্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এই হামলাগুলো ঘটছে এমন এক সময়, যখন গাজায় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানি ঘাটতির কারণে পানি বিশুদ্ধকরণ এবং পয়ঃনিষ্কাশন কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষকে বাধ্য হয়ে সীমিতসংখ্যক পানি কেন্দ্রের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এ কেন্দ্রগুলোতেই প্রতিনিয়ত হামলার ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ নাগরিকরা।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ জন। অবরোধ আর লাগাতার হামলায় গাজার প্রায় ২১ লাখ বাসিন্দা এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক মহলে এ সংকট নিরসনে চাপ বাড়লেও এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে নিহত আরও ৯৫, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫৮ হাজার

আপডেট সময় ১০:২১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ থেমে নেই। রোববার একটি ব্যস্ত বাজার এবং একটি পানি বিতরণ কেন্দ্রে চালানো প্রাণঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ২৬ জনে পৌঁছেছে।

গাজা সিটির একটি জনবহুল বাজারে চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আহমেদ কান্দিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, বাজারটি হামলার সময় ভিড়ে ঠাসা ছিল।

এছাড়া মধ্য গাজার নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি পানি বিতরণ কেন্দ্রের সামনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন, যাদের বেশিরভাগই শিশু। তারা সবাই পানির জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন, অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বাজারে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও তারা দাবি করেছে, নুসাইরাত এলাকায় তারা এক ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। তবে একটি ‘প্রযুক্তিগত ত্রুটির’ কারণে ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায় বলে দাবি তাদের। এই বক্তব্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এই হামলাগুলো ঘটছে এমন এক সময়, যখন গাজায় পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানি ঘাটতির কারণে পানি বিশুদ্ধকরণ এবং পয়ঃনিষ্কাশন কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষকে বাধ্য হয়ে সীমিতসংখ্যক পানি কেন্দ্রের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। এ কেন্দ্রগুলোতেই প্রতিনিয়ত হামলার ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ নাগরিকরা।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ জন। অবরোধ আর লাগাতার হামলায় গাজার প্রায় ২১ লাখ বাসিন্দা এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আন্তর্জাতিক মহলে এ সংকট নিরসনে চাপ বাড়লেও এখনো যুদ্ধবিরতির কোনো সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না।