ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে তরুণদের ডিজিটাল যুগে নেতৃত্বদানের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আগামী ১৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হবে।

এক বার্তায় গুতেরেস বলেন, “দক্ষতা কেবল একটি হাতিয়ার নয়, এটি তরুণদের ক্ষমতায়নের এবং তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম।”

তিনি জানান, বর্তমানে শুধু ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান নয়, বরং সৃজনশীল শিল্প, সামাজিক নেতৃত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা সব মিলিয়ে তরুণদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গঠনের পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাজ তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।

চলতি বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়ে তিনি বলেন, “ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত দক্ষতার গুরুত্ব এ বছর যথার্থভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মৌলিক ডিজিটাল শিক্ষা থেকে শুরু করে উন্নত পর্যায়ের ডেটা বিজ্ঞান পর্যন্ত সব কিছুই আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য।”

তবে সবাইকে সমান সুযোগ না দিলে এই উন্নয়নের সুফল ভোগ করা সম্ভব নয় বলে সতর্ক করে দেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, “ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে হবে। তরুণদের মধ্যে যেন লিঙ্গ, অবস্থান বা সামাজিক পটভূমির কারণে কেউ পিছিয়ে না পড়ে। সবাই যেন তাদের সম্ভাবনা পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ডিজিটাল শিক্ষাকে হতে হবে মানবকেন্দ্রিক। প্রযুক্তিগত জ্ঞান ছাড়াও সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও সহমর্মিতা তৈরি করাও এই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

এআই যখন দ্রুতগতিতে আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করছে, তখন তরুণদের শুধুমাত্র শিখিয়ে রাখলেই চলবে না। বরং তাদের দেখতে হবে এক ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা হিসেবে এমনটাই মনে করেন গুতেরেস।

বার্তার শেষাংশে তিনি বলেন, “আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি, যেন প্রতিটি তরুণ ডিজিটাল যুগে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সজ্জিত হতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিজের হাতে গড়ে তুলতে পারে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে তরুণদের ডিজিটাল যুগে নেতৃত্বদানের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আগামী ১৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হবে।

এক বার্তায় গুতেরেস বলেন, “দক্ষতা কেবল একটি হাতিয়ার নয়, এটি তরুণদের ক্ষমতায়নের এবং তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম।”

তিনি জানান, বর্তমানে শুধু ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান নয়, বরং সৃজনশীল শিল্প, সামাজিক নেতৃত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা সব মিলিয়ে তরুণদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গঠনের পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাজ তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।

চলতি বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়ে তিনি বলেন, “ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত দক্ষতার গুরুত্ব এ বছর যথার্থভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মৌলিক ডিজিটাল শিক্ষা থেকে শুরু করে উন্নত পর্যায়ের ডেটা বিজ্ঞান পর্যন্ত সব কিছুই আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য।”

তবে সবাইকে সমান সুযোগ না দিলে এই উন্নয়নের সুফল ভোগ করা সম্ভব নয় বলে সতর্ক করে দেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, “ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে হবে। তরুণদের মধ্যে যেন লিঙ্গ, অবস্থান বা সামাজিক পটভূমির কারণে কেউ পিছিয়ে না পড়ে। সবাই যেন তাদের সম্ভাবনা পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ডিজিটাল শিক্ষাকে হতে হবে মানবকেন্দ্রিক। প্রযুক্তিগত জ্ঞান ছাড়াও সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও সহমর্মিতা তৈরি করাও এই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

এআই যখন দ্রুতগতিতে আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করছে, তখন তরুণদের শুধুমাত্র শিখিয়ে রাখলেই চলবে না। বরং তাদের দেখতে হবে এক ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা হিসেবে এমনটাই মনে করেন গুতেরেস।

বার্তার শেষাংশে তিনি বলেন, “আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি, যেন প্রতিটি তরুণ ডিজিটাল যুগে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সজ্জিত হতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিজের হাতে গড়ে তুলতে পারে।”