০২:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনা হবে: আমীর খসরু শাপলা দেওয়ার সুযোগ নেই, অন্য প্রতীক দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি: ইসি সচিব হানিফসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠন নিয়ে শুনানি আজ পারমাণবিক চালিত আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে পরীক্ষার ঘোষণা পুতিনের নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি

তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে তরুণদের ডিজিটাল যুগে নেতৃত্বদানের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আগামী ১৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হবে।

এক বার্তায় গুতেরেস বলেন, “দক্ষতা কেবল একটি হাতিয়ার নয়, এটি তরুণদের ক্ষমতায়নের এবং তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম।”

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, বর্তমানে শুধু ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান নয়, বরং সৃজনশীল শিল্প, সামাজিক নেতৃত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা সব মিলিয়ে তরুণদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গঠনের পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাজ তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।

চলতি বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়ে তিনি বলেন, “ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত দক্ষতার গুরুত্ব এ বছর যথার্থভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মৌলিক ডিজিটাল শিক্ষা থেকে শুরু করে উন্নত পর্যায়ের ডেটা বিজ্ঞান পর্যন্ত সব কিছুই আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য।”

তবে সবাইকে সমান সুযোগ না দিলে এই উন্নয়নের সুফল ভোগ করা সম্ভব নয় বলে সতর্ক করে দেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, “ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে হবে। তরুণদের মধ্যে যেন লিঙ্গ, অবস্থান বা সামাজিক পটভূমির কারণে কেউ পিছিয়ে না পড়ে। সবাই যেন তাদের সম্ভাবনা পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ডিজিটাল শিক্ষাকে হতে হবে মানবকেন্দ্রিক। প্রযুক্তিগত জ্ঞান ছাড়াও সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও সহমর্মিতা তৈরি করাও এই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

এআই যখন দ্রুতগতিতে আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করছে, তখন তরুণদের শুধুমাত্র শিখিয়ে রাখলেই চলবে না। বরং তাদের দেখতে হবে এক ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা হিসেবে এমনটাই মনে করেন গুতেরেস।

বার্তার শেষাংশে তিনি বলেন, “আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি, যেন প্রতিটি তরুণ ডিজিটাল যুগে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সজ্জিত হতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিজের হাতে গড়ে তুলতে পারে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব

আপডেট সময় ০৬:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস উপলক্ষে তরুণদের ডিজিটাল যুগে নেতৃত্বদানের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। আগামী ১৫ জুলাই বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হবে।

এক বার্তায় গুতেরেস বলেন, “দক্ষতা কেবল একটি হাতিয়ার নয়, এটি তরুণদের ক্ষমতায়নের এবং তাদের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচনের একটি শক্তিশালী মাধ্যম।”

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, বর্তমানে শুধু ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান নয়, বরং সৃজনশীল শিল্প, সামাজিক নেতৃত্ব ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা সব মিলিয়ে তরুণদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেন তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গঠনের পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাজ তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।

চলতি বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়ে তিনি বলেন, “ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত দক্ষতার গুরুত্ব এ বছর যথার্থভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মৌলিক ডিজিটাল শিক্ষা থেকে শুরু করে উন্নত পর্যায়ের ডেটা বিজ্ঞান পর্যন্ত সব কিছুই আজকের দিনে প্রাসঙ্গিক এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য অপরিহার্য।”

তবে সবাইকে সমান সুযোগ না দিলে এই উন্নয়নের সুফল ভোগ করা সম্ভব নয় বলে সতর্ক করে দেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, “ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে হবে। তরুণদের মধ্যে যেন লিঙ্গ, অবস্থান বা সামাজিক পটভূমির কারণে কেউ পিছিয়ে না পড়ে। সবাই যেন তাদের সম্ভাবনা পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ডিজিটাল শিক্ষাকে হতে হবে মানবকেন্দ্রিক। প্রযুক্তিগত জ্ঞান ছাড়াও সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও সহমর্মিতা তৈরি করাও এই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

এআই যখন দ্রুতগতিতে আমাদের সমাজ ও অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করছে, তখন তরুণদের শুধুমাত্র শিখিয়ে রাখলেই চলবে না। বরং তাদের দেখতে হবে এক ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা হিসেবে এমনটাই মনে করেন গুতেরেস।

বার্তার শেষাংশে তিনি বলেন, “আসুন আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করি, যেন প্রতিটি তরুণ ডিজিটাল যুগে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সজ্জিত হতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিজের হাতে গড়ে তুলতে পারে।”