গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১০৯, মানবিক ত্রাণ কেন্দ্রেও গুলি

- আপডেট সময় ১০:৩৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
- / 2
দখলদার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের নতুন হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরও অন্তত ১০৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, মঙ্গলবারের হামলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রে। সেখানকার ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান কমপক্ষে ১৬ জন।
জিএইচএফ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত মে মাসের শেষের দিকে সীমিত সহায়তা বিতরণ শুরুর পর থেকে প্রতিদিনই এ ধরনের হামলার শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ইতোমধ্যে এ ধরনের সহিংসতায় প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ অবস্থায় ১৭০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক মানবিক সংগঠন এবং এনজিও এক যৌথ বিবৃতিতে জিএইচএফ-এর কার্যক্রম বন্ধের দাবি তুলেছে। তাদের ভাষায়, “গাজার মানুষের সামনে এখন দুটি বেদনাদায়ক পথ— হয় ক্ষুধায় মারা যেতে হবে, নয়তো গুলির ঝুঁকি নিয়ে খাবার সংগ্রহ করতে হবে।”
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “জিএইচএফ গাজার মানুষের জন্য ক্ষুধা এবং গুলিবর্ষণের আরেকটি মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলের গাজা সিটি এলাকায় আবারও হামলা শুরু করেছে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকার মানুষকে জোরপূর্বক সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল। তবে এর মধ্যেই নতুন করে হামলা চালানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে।
ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সিটির এক স্থানে ইসরায়েলি সেনাদের কোয়াডকপ্টার হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হন।
গাজায় যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই মানবিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে। সীমিত পরিমাণে আসা ত্রাণ সহায়তা নিয়েও বাঁচতে গিয়ে প্রাণ হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন লাখো মানুষ।
মানবিক সংগঠনগুলোর দাবি, দ্রুত যুদ্ধবিরতি এবং নিরাপদ ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা গেলে সেখানে দুর্ভিক্ষের সঙ্গে একযোগে গণহত্যার আশঙ্কা তৈরি হবে।