উত্তেজনার মধ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট ২০% বাড়াল পাকিস্তান, কড়া বার্তা ভারতের

- আপডেট সময় ০৮:০০:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
- / 20
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই নতুন অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ২০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়েছে পাকিস্তান। অন্যান্য খাতে ব্যয় কমানো হলেও, সামরিক খাতে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় আড়াই লাখ কোটি রুপিতে, যা প্রায় নয়শ কোটি মার্কিন ডলারের সমান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সামরিক খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে পাকিস্তান। সামগ্রিক বাজেট বরাদ্দ ৭ শতাংশ হ্রাস পেলেও, সেনাবাহিনীর বাজেটে বড়সড় বাড়তি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই অর্থ মূলত ব্যয় হবে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সংস্থার পরিচালন ব্যয়, অস্ত্র-সরঞ্জাম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতে।
এদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেটেও এ বছর ১০ শতাংশ বাড়তি বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা দাঁড়িয়েছে প্রায় আট হাজার কোটি ডলারে। ভারত সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষা খাতকে আরও অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীর হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মে মাসের শুরুতে টানা চারদিন দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলে। উভয়পক্ষই ব্যবহার করে ড্রোন, যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে দুই দেশ সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
এই সংঘাতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ভারতের সেনাবাহিনীর দাবি, ওই বিমানগুলো ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে। তারা আরও জানায়, পাকিস্তান এই সংঘাতে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেন, নয়াদিল্লির জবাবি হামলায় পাকিস্তানের আটটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে যায়, যা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্কর পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ইসলামাবাদ ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে হাজার হাজার সন্ত্রাসী তৈরি করছে। সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় কৌশলের অংশ বানিয়েছে পাকিস্তান। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালালে, পাকিস্তানের ভেতরে প্রবেশ করে জোরালো হামলা চালাবে নয়াদিল্লি।
ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুই দেশের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো আগামী দিনে আরও সংঘাতময় পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।