সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর

- আপডেট সময় ১২:৩০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / 14
সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে নয়াদিল্লিকে কড়া বার্তা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত এই ঐতিহাসিক চুক্তি ভাঙার কথা যেন ভারত কখনো চিন্তাও না করে। একই সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি হুঁশিয়ার করে বলেন, “যদি ভবিষ্যতে সংঘাতের পথ বেছে নেওয়া হয়, পাকিস্তান পাল্টা আঘাতে ভারতকে ধ্বংস করে দেবে।”
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে। পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার, সংঘর্ষের আশঙ্কা এবং কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। ১৩ মে ভারতের পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে দেশটির বিমানবাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করেন নরেন্দ্র মোদি। তার পরদিনই ১৪ মে শেহবাজ শরীফ জবাব দেন সিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাস থেকে।
সেখানে ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুসে’ অংশগ্রহণকারী সেনাদের সঙ্গে দেখা করে এই অভিযানকে পাকিস্তানের জন্য “ঐতিহাসিক মুহূর্ত” বলে উল্লেখ করেন তিনি। মোদিকে উদ্দেশ করে বলেন, “আপনি আগেও আমাদের পরীক্ষা করতে গিয়েছেন, এবারও যদি হামলার চিন্তা করেন, তাহলে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। পাকিস্তান শান্তি চায়, তবে কেউ যেন আমাদের এই আকাঙ্ক্ষাকে দুর্বলতা মনে না করে।”
বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সিন্ধু নদ ও তার শাখানদীগুলোর পানি বণ্টনের বিধান করা হয়। এই চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক সেচের ৮০ শতাংশ পানি আসে। তবে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার পর নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে দায়ী করে একতরফাভাবে এই চুক্তি স্থগিত করে দেয়।
পাকিস্তান এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানায়। পাশাপাশি একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানায় ইসলামাবাদ।
যদিও সীমান্তে কয়েকদিনের প্রাণঘাতি লড়াইয়ের পর যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে ভারত ও পাকিস্তান, তবুও সিন্ধু চুক্তির ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা না হলে বিষয়টি বড় সংকটে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।