ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ইরানের

- আপডেট সময় ১১:০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 22
জম্মু-কাশ্মিরে সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট তীব্র উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক্সে দেওয়া এক বার্তায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাগচি এই প্রস্তাব তুলে ধরেন।
আরাগচি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান আমাদের দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। আমাদের সম্পর্ক বহু শতাব্দীর পুরোনো, যা সংস্কৃতি ও সভ্যতার বন্ধনে গাঁথা। এই সংকটময় মুহূর্তে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে অবস্থিত আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই আমরা।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিবেশীদের আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিই এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আমরা সক্রিয় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।”
এই প্রস্তাবের সঙ্গে আরাগচি পার্সিয়ান কবি সাদির একটি বিখ্যাত কবিতার উদ্ধৃতি দেন। সেখানে বলা হয়েছে, “মানুষ একটি পরিবার, এই পরিবারের এক সদস্যের যন্ত্রণায় অন্যরাও ব্যথিত হয়।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভারতের জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নয়াদিল্লি সরাসরি অভিযোগ তোলে, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জড়িত। এরপরই ভারত সিন্ধু নদ পানি চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয়, পাকিস্তানিদের ভিসা সুবিধা স্থগিত করে এবং প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।
জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। দেশটি ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়, সীমান্ত ক্রসিং স্থগিত রাখে এবং ভারতীয়দের জন্য ভিসা সুবিধা বাতিল করে।
ভারতের জলসম্পদমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান, “সিন্ধু নদীর এক ফোঁটাও পানি যেন পাকিস্তানে না যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” এই বক্তব্যের জবাবে পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, পানি প্রবাহ বন্ধ করা হলে সেটিকে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে দেখা হবে এবং তার যথোচিত জবাব দেওয়া হবে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইরানের মধ্যস্থতার প্রস্তাব আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।