ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব: কাতার ও মিসরের উদ্যোগে আলোচনা তৎপরতা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৫৬:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / 16

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিরসনে কাতার ও মিসর নতুন এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে পাঁচ থেকে সাত বছর মেয়াদি শান্তিচুক্তির প্রস্তাব থাকলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফিলিস্তিনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করবে এবং হামাসও তাদের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি সব ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে।

এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হামাসের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল কায়রো যাচ্ছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া। তবে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে ইসরায়েল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে জানুয়ারির ১৯ তারিখ গাজায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল, যা মার্চের ১৮ তারিখ ভেঙে ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করে। ইসরায়েল সম্প্রতি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির শর্তে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা হামাস প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেন, “গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি জরুরি। ত্রাণ যেন হামাসের হাতে পড়ে সাধারণ মানুষের জন্য অপব্যবহৃত না হয়, সে বিষয়েও নিশ্চয়তা প্রয়োজন।”

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, জিম্মিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তার প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত একটি চুক্তিতে পৌঁছানো উচিত। তবে এই নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে কতটা অগ্রগতি হবে, তা নির্ভর করছে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার ফলাফলের ওপর।

গাজায় চলমান এই সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় যে নতুন প্রস্তাব এসেছে, তা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে অঞ্চলটিতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব: কাতার ও মিসরের উদ্যোগে আলোচনা তৎপরতা

আপডেট সময় ০৯:৫৬:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

 

গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিরসনে কাতার ও মিসর নতুন এক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবে পাঁচ থেকে সাত বছর মেয়াদি শান্তিচুক্তির প্রস্তাব থাকলেও এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ফিলিস্তিনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করবে এবং হামাসও তাদের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি সব ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে।

এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হামাসের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল কায়রো যাচ্ছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া। তবে এই প্রস্তাবের ব্যাপারে ইসরায়েল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে জানুয়ারির ১৯ তারিখ গাজায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল, যা মার্চের ১৮ তারিখ ভেঙে ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করে। ইসরায়েল সম্প্রতি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির শর্তে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা হামাস প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হুকাবি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি বলেন, “গাজায় ত্রাণসামগ্রী প্রবেশ এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি জরুরি। ত্রাণ যেন হামাসের হাতে পড়ে সাধারণ মানুষের জন্য অপব্যবহৃত না হয়, সে বিষয়েও নিশ্চয়তা প্রয়োজন।”

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, জিম্মিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তার প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত একটি চুক্তিতে পৌঁছানো উচিত। তবে এই নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে কতটা অগ্রগতি হবে, তা নির্ভর করছে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার ফলাফলের ওপর।

গাজায় চলমান এই সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছে। কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় যে নতুন প্রস্তাব এসেছে, তা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে অঞ্চলটিতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।