শিল্প ও বাণিজ্য
ডিসেম্বরে আমদানির রেকর্ড: ব্যবসায় চাঙাভাবের ইঙ্গিত
গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব ছিল স্পষ্ট। ঋণপত্র খোলা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতের সংকটের কারণে আমদানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা দূর করে, গত ডিসেম্বরে পণ্যের আমদানিতে রেকর্ড হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে মোট ১ কোটি ৩৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুল্কায়ন মূল্যের দিক থেকেও ডিসেম্বরে ৭৩৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়, যা ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ডিসেম্বরে চাল আমদানি হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার টন, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আমদানি ছিল শূন্য। গম আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪১ হাজার টনে, যা ৭৩ শতাংশ বেশি।
পেঁয়াজ ও ডালের আমদানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। পেঁয়াজ আমদানি ২১৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৮২ হাজার টন, আর ডাল আমদানি ১৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টনে। শিল্প খাতে তুলা, ক্লিংকার ও এলপি গ্যাসের আমদানিও যথাক্রমে ৬, ১৯ ও ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
ডিসেম্বরে আমদানির এই ঊর্ধ্বগতি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। চলমান চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, আমদানি বৃদ্ধির এই ধারা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সিগন্যাল।