০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ইসরায়েলি হামলার শিকার: গাজার ২৭০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাজধানীতে জশনে জুলুস শোভাযাত্রা কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার তুরাগ নদীর ১৭ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ে অর্থ দেবে বিশ্বব্যাংক যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ বিষাক্ত মদ্যপানে মুন্সিগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩ লেবাননে সব অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন বৈশ্বিক ড্রোন বিক্রি বাড়াতে ১৯৮৭ সালের ব্যাখ্যা পরিবর্তন করছে যুক্তরাষ্ট্র নথি ফাঁস: ২০১৯ সালে মার্কিন বাহিনী উত্তর কোরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যুক্তরাজ্য–নরওয়ের মধ্যে ১০ বিলিয়ন পাউন্ডের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি
শিল্প ও বাণিজ্য

ডিসেম্বরে আমদানির রেকর্ড: ব্যবসায় চাঙাভাবের ইঙ্গিত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 69

ছবি সংগৃহীত

 

গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব ছিল স্পষ্ট। ঋণপত্র খোলা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতের সংকটের কারণে আমদানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা দূর করে, গত ডিসেম্বরে পণ্যের আমদানিতে রেকর্ড হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে মোট ১ কোটি ৩৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুল্কায়ন মূল্যের দিক থেকেও ডিসেম্বরে ৭৩৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়, যা ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ডিসেম্বরে চাল আমদানি হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার টন, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আমদানি ছিল শূন্য। গম আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪১ হাজার টনে, যা ৭৩ শতাংশ বেশি।

পেঁয়াজ ও ডালের আমদানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। পেঁয়াজ আমদানি ২১৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৮২ হাজার টন, আর ডাল আমদানি ১৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টনে। শিল্প খাতে তুলা, ক্লিংকার ও এলপি গ্যাসের আমদানিও যথাক্রমে ৬, ১৯ ও ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

ডিসেম্বরে আমদানির এই ঊর্ধ্বগতি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। চলমান চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, আমদানি বৃদ্ধির এই ধারা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সিগন্যাল।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিল্প ও বাণিজ্য

ডিসেম্বরে আমদানির রেকর্ড: ব্যবসায় চাঙাভাবের ইঙ্গিত

আপডেট সময় ১০:০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

 

গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব ছিল স্পষ্ট। ঋণপত্র খোলা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতের সংকটের কারণে আমদানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা দূর করে, গত ডিসেম্বরে পণ্যের আমদানিতে রেকর্ড হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বরে মোট ১ কোটি ৩৪ লাখ টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা গত ৩৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। শুল্কায়ন মূল্যের দিক থেকেও ডিসেম্বরে ৭৩৮ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়, যা ১৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের আমদানিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ডিসেম্বরে চাল আমদানি হয় ১ লাখ ৩৬ হাজার টন, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আমদানি ছিল শূন্য। গম আমদানি বেড়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪১ হাজার টনে, যা ৭৩ শতাংশ বেশি।

পেঁয়াজ ও ডালের আমদানিতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। পেঁয়াজ আমদানি ২১৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৮২ হাজার টন, আর ডাল আমদানি ১৬৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টনে। শিল্প খাতে তুলা, ক্লিংকার ও এলপি গ্যাসের আমদানিও যথাক্রমে ৬, ১৯ ও ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।

ডিসেম্বরে আমদানির এই ঊর্ধ্বগতি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। চলমান চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, আমদানি বৃদ্ধির এই ধারা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক সিগন্যাল।