ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় আবারও জালে উঠছে ইলিশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • / 57

ছবি: সংগৃহীত

 

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও ইলিশ শিকার শুরু হয়েছে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে। বুধবার (১ মে) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মাছ ধরার অনুমতি পেয়ে নদীতে নেমেছেন হাজারো জেলে। তাদের চোখে-মুখে নতুন আশার ঝিলিক।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জাটকা সংরক্ষণে মার্চ ও এপ্রিল—এই দুই মাস নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকা।

এই দুই মাসে জেলা মৎস্য বিভাগ ১,০৬৪টি অভিযান পরিচালনা করে। এতে ১২৯ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জনকে কারাদণ্ড এবং ১২৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ১২ লাখ ৭০৫ মিটার কারেন্টজাল, ১৩টি বেহুন্দি জাল ও ৩৩৪টি অন্যান্য জাল। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় ৬ হাজার ৭৬৬ টন জাটকা ও ৩ হাজার ৫২ টন অন্যান্য মাছ। জব্দকৃত সরঞ্জাম নিলামে বিক্রি করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

মৎস্যজীবী নেতা তছলিম ব্যাপারী বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আমরা নদীতে নামছি। তবে ইলিশ ধরা প্রকৃতিনির্ভর। সরকার আমাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, খাদ্য ও উপকরণ সহায়তা দিচ্ছে।”

মৎস্য কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেকে চার কিস্তিতে ৪০ কেজি করে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তার আশা, এই কঠোর অভিযানের ফলে এবার নদীতে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুটি মাসব্যাপী অভিযানে একটি থানা ও পাঁচটি পুলিশ ফাঁড়ি নিয়মিত নজরদারি চালিয়েছে। এতে ৯ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার মিটার কারেন্টজাল এবং ১৮ টন জাটকা জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ২৬৮ জন জেলে ও ১২৩টি নৌযান।

নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা আবারও নদীতে ফিরেছেন। এখন সময় প্রকৃতির দান ইলিশে ভরপুর জাল নিয়ে ঘরে ফেরা অপেক্ষা।

নিউজটি শেয়ার করুন

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় আবারও জালে উঠছে ইলিশ

আপডেট সময় ১২:২০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

 

দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও ইলিশ শিকার শুরু হয়েছে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে। বুধবার (১ মে) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মাছ ধরার অনুমতি পেয়ে নদীতে নেমেছেন হাজারো জেলে। তাদের চোখে-মুখে নতুন আশার ঝিলিক।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জাটকা সংরক্ষণে মার্চ ও এপ্রিল—এই দুই মাস নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকা।

এই দুই মাসে জেলা মৎস্য বিভাগ ১,০৬৪টি অভিযান পরিচালনা করে। এতে ১২৯ জন জেলেকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জনকে কারাদণ্ড এবং ১২৪ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ১২ লাখ ৭০৫ মিটার কারেন্টজাল, ১৩টি বেহুন্দি জাল ও ৩৩৪টি অন্যান্য জাল। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় ৬ হাজার ৭৬৬ টন জাটকা ও ৩ হাজার ৫২ টন অন্যান্য মাছ। জব্দকৃত সরঞ্জাম নিলামে বিক্রি করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।

মৎস্যজীবী নেতা তছলিম ব্যাপারী বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আমরা নদীতে নামছি। তবে ইলিশ ধরা প্রকৃতিনির্ভর। সরকার আমাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, খাদ্য ও উপকরণ সহায়তা দিচ্ছে।”

মৎস্য কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেকে চার কিস্তিতে ৪০ কেজি করে মোট ১৬০ কেজি চাল সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তার আশা, এই কঠোর অভিযানের ফলে এবার নদীতে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।

নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুটি মাসব্যাপী অভিযানে একটি থানা ও পাঁচটি পুলিশ ফাঁড়ি নিয়মিত নজরদারি চালিয়েছে। এতে ৯ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার মিটার কারেন্টজাল এবং ১৮ টন জাটকা জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ২৬৮ জন জেলে ও ১২৩টি নৌযান।

নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা আবারও নদীতে ফিরেছেন। এখন সময় প্রকৃতির দান ইলিশে ভরপুর জাল নিয়ে ঘরে ফেরা অপেক্ষা।