দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৮:৪০:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
- / 1
দেশীয় জাতের গবাদি পশুর উৎপাদনে সঠিক পদ্ধতি ও সহায়তা নিশ্চিত করা গেলে এগুলোকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, “গবাদি পশুর সুস্থতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন হলে পশুখাদ্যের গুণগত মান ও উপাদান নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে।”
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সাভারের বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় নবনির্মিত ডরমিটরি ভবন ‘হোয়াইট হল’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়বে এবং এর সুফল খামারিরা সরাসরি পাবেন। প্রশিক্ষণের মানোন্নয়নই প্রাণিসম্পদ খাতের অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি।”
তিনি আরও বলেন, “এ বছর কোরবানিতে গবাদি পশু সুস্থ ও সবল ছিল, যা জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সচেতনতা ও সহযোগিতার ফসল।”
শিল্পভিত্তিক পশু পালন ব্যবস্থাকে জলবায়ুর জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে ফরিদা আখতার বলেন, “এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে প্রান্তিক খামার ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়বে। তাই টেকসই কৃষিভিত্তিক খামার ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে হবে।” তিনি রোগ প্রতিরোধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবন ও প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রাণিসম্পদ খাতেও কৃষির মতো ভর্তুকি প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “ভর্তুকি দিলে খামারিরা সরাসরি উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা চলছে।”
উপদেষ্টা জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের কল্যাণে নতুন অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, যেখানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার এবং কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস লাইভস্টক একাডেমির পরিচালক ডা. এ. কে. এম. হুমায়ুন কবীর, অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বেগম শামছুননাহার আহম্মদ ও মো. শাহজামান খান, এলডিডিপি’র চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানীসহ ৩৩ ও ৪৩তম বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারের কর্মকর্তারা। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন।