ঢাকা ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিঃশব্দ আতঙ্কের ছায়া: বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিসের বৈজ্ঞানিক রহস্য। রংপুরে হিন্দুপল্লীতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই ৫ আগস্ট ঘিরে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মতলব উত্তরে কিস্তি নিয়ে বিরোধ, চাচার ঘুষিতে প্রাণ গেল ভাতিজার সাবেক প্রধান বিচারপতির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর লেস্টারে ইতিহাস গড়া দাওয়াতি সম্মেলন, শুরু হলো নতুন দাওয়াতি যুগ নিখোঁজের পর ইউনিয়ন পরিষদের টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার রিয়ালে ১০ নম্বর জার্সির নতুন উত্তরাধিকারী এমবাপে অভিনেত্রী নন্দিনীর গাড়ির ধাক্কায় আহত যুবকের মৃত্যু শুল্কবিরতির মেয়াদ বাড়বে কিনা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প

ধানমন্ডিতে চাঁদাবাজি: প্রাইভেটকার থামিয়ে টাকা আদায়, যুবক গ্রেফতার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 44

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল থামিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম মো. আশরাফুল আলম (২৩)। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জে।

পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, আশরাফুল এবং তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন-চারজন দীর্ঘদিন ধরে ধানমন্ডির রোড নম্বর ২/এ এলাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালের বিপরীত পাশে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিল। তারা পথচারী প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালকদের জোরপূর্বক গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করত।

এ সংক্রান্ত ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আশরাফুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।

জবানবন্দিতে আশরাফুল জানায়, সে এবং তার সহযোগীরা প্রায় চার মাস ধরে নির্দিষ্ট ওই এলাকায় এবং আশপাশে চাঁদাবাজি করে আসছে। তারা পরিকল্পিতভাবে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করত।

ধানমন্ডি থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তার সহযোগীদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। চক্রটি বড় কোনো অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আটক আশরাফুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তাকে আদালতে তোলা হবে এবং রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।

রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় দিনের পর দিন এভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় এমন অপরাধ নির্মূলে নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধানমন্ডিতে চাঁদাবাজি: প্রাইভেটকার থামিয়ে টাকা আদায়, যুবক গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৫:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল থামিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম মো. আশরাফুল আলম (২৩)। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জে।

পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, আশরাফুল এবং তার সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিন-চারজন দীর্ঘদিন ধরে ধানমন্ডির রোড নম্বর ২/এ এলাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালের বিপরীত পাশে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিল। তারা পথচারী প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চালকদের জোরপূর্বক গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করত।

এ সংক্রান্ত ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আশরাফুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার অপরাধ স্বীকার করেছে।

জবানবন্দিতে আশরাফুল জানায়, সে এবং তার সহযোগীরা প্রায় চার মাস ধরে নির্দিষ্ট ওই এলাকায় এবং আশপাশে চাঁদাবাজি করে আসছে। তারা পরিকল্পিতভাবে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করত।

ধানমন্ডি থানার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদে তার সহযোগীদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। চক্রটি বড় কোনো অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আটক আশরাফুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। শিগগিরই তাকে আদালতে তোলা হবে এবং রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে।

রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় দিনের পর দিন এভাবে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় এমন অপরাধ নির্মূলে নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান আরও জোরদার করা হবে।