আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে রয়েছে গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও প্রকাশ্য দুর্নীতি। এসব অপরাধের জন্য দলটির নেতৃত্বকে নৈতিকভাবে দায়ী করা হচ্ছে, এবং তাদের আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বলা হয়েছে। দেশের জনগণ চায়, আওয়ামী লীগ তাদের অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সুষ্ঠু বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করবে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ তাদের নেতাদের অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে পাপমোচন করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক দেশে খুনী ও দুর্নীতিবাজদের বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হতে পারে না। এটি শুধু এক ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করবে।”

শফিকুল আলম প্রশ্ন তুলেছেন, “মিত্রবাহিনী কি কখনো নাজি বাহিনীর বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছিল? কোন দেশের সরকার কি এমন একটি দলকে ক্ষমতায় ফিরতে দিতে পারে, যারা অপরাধ ও দুর্নীতির সাথে জড়িত?”

এটি একটি স্পষ্ট বার্তা যে, দেশের জনগণ এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং তাদের প্রতিবাদ সহ্য করবে না। আওয়ামী লীগ যদি তাদের বর্তমান ফ্যাসিবাদী নেতৃত্ব থেকে নিজেকে আলাদা না করে, তবে তাদের বিক্ষোভের মুখে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শফিকুল আলম আরও বলেন, “যতক্ষণ না দলটি নিজেদের অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির মুখোমুখি করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা কোনো ধরনের বিক্ষোভের সুযোগ পাবে না।”