ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 30

ছবি: সংগৃহীত

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের নামে থাকা ৪০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫৭টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। আদালতকে দুদকের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, আসামিরা তাদের নামে থাকা সম্পদ ও অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা গোপন করার চেষ্টা করছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

আদালতের নথি অনুযায়ী, নুরুজ্জামানের ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং হোসনে আরার ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৭ টাকা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারি রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের একটি আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার, তার স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রথম মামলায় নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২৫টি ব্যাংক হিসাবের ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে নুরুজ্জামানের ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদকে। অভিযোগে বলা হয়, বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়া রাকিবুজ্জামানের ১০টি ব্যাংক হিসেবে ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদক জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আরও সম্পদ জব্দের আবেদন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

আপডেট সময় ০৬:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের নামে থাকা ৪০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫৭টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। আদালতকে দুদকের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, আসামিরা তাদের নামে থাকা সম্পদ ও অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা গোপন করার চেষ্টা করছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

আদালতের নথি অনুযায়ী, নুরুজ্জামানের ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং হোসনে আরার ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৭ টাকা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারি রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের একটি আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার, তার স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রথম মামলায় নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২৫টি ব্যাংক হিসাবের ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে নুরুজ্জামানের ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদকে। অভিযোগে বলা হয়, বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়া রাকিবুজ্জামানের ১০টি ব্যাংক হিসেবে ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদক জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আরও সম্পদ জব্দের আবেদন করা হবে।