ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের নামে থাকা ৪০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫৭টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। আদালতকে দুদকের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, আসামিরা তাদের নামে থাকা সম্পদ ও অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা গোপন করার চেষ্টা করছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

আদালতের নথি অনুযায়ী, নুরুজ্জামানের ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং হোসনে আরার ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৭ টাকা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারি রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের একটি আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার, তার স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রথম মামলায় নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২৫টি ব্যাংক হিসাবের ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে নুরুজ্জামানের ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদকে। অভিযোগে বলা হয়, বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়া রাকিবুজ্জামানের ১০টি ব্যাংক হিসেবে ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদক জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আরও সম্পদ জব্দের আবেদন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

আপডেট সময় ০৬:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের নামে থাকা ৪০ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫৭টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। আদালতকে দুদকের উপপরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, আসামিরা তাদের নামে থাকা সম্পদ ও অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা গোপন করার চেষ্টা করছেন। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

আদালতের নথি অনুযায়ী, নুরুজ্জামানের ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং হোসনে আরার ২৫টি ব্যাংক হিসাবে ৮১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৩৭ টাকা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ জানুয়ারি রাতে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের একটি আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার, তার স্ত্রী এবং ছেলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রথম মামলায় নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৭২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩১টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের বিরুদ্ধে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৬ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ২৫টি ব্যাংক হিসাবের ৫০ কোটি ৪৩ লাখ ১৬ হাজার টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।

তৃতীয় মামলায় আসামি করা হয়েছে নুরুজ্জামানের ছেলে মো. রাকিবুজ্জামান আহমেদকে। অভিযোগে বলা হয়, বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়া রাকিবুজ্জামানের ১০টি ব্যাংক হিসেবে ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২ হাজার ৯২৫ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদক জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে আরও সম্পদ জব্দের আবেদন করা হবে।