ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গণমাধ্যম সংস্কারে ১২টি নতুন সিদ্ধান্ত, অগ্রাধিকার পাচ্ছে সাংবাদিকদের অধিকার পলিথিন বন্ধে কঠোর অভিযান শিগগিরই শুরু: পরিবেশ উপদেষ্টা বিআরটিসির দরজা অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বদা খোলা: চেয়ারম্যান নীলফামারীতে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে এসএসসিতে সবাই ফেল, বইছে সমালোচনার ঝড় নাইজেরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ৩০ সশস্ত্র দস্যু নিহত সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১২৮৪ জন তরুণদের হতে হবে ডিজিটাল ভবিষ্যতের সহ-নির্মাতা: জাতিসংঘ মহাসচিব লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোংলা বন্দরে রেকর্ড রাজস্ব আদায় ও জাহাজ আগমন ইসির তফসিলে যুক্ত হচ্ছে আরও ৪৬টি প্রতীক, তফসিলে মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ১১৫ এসএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু ১১ জুলাই থেকে

সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবারও পেছানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহিন রেজা আগামী ৮ জুলাই নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন। এতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ১১৮ বার সময় পরিবর্তন করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন। ফলে আদালত আবারও সময় বাড়িয়ে দেন।

এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, দম্পতির বাসার দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ বর্তমানে জামিনে থাকলেও অন্যরা কারাগারে বন্দি আছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ঘটনার পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রথমে মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন থানার একজন এসআই। চার দিন পর তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। তবে দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করেও কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র‍্যাবকে।

কিন্তু দীর্ঘ এক দশকেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকায়, ২০২3 সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়, যেখানে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে র‍্যাবকে তদন্ত কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এরপর ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মামলার অগ্রগতি নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো প্রতিবেদন জমা পড়েনি। ফলে সাগর-রুনি হত্যার বিচার এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন

আপডেট সময় ০৮:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবারও পেছানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহিন রেজা আগামী ৮ জুলাই নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন। এতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ১১৮ বার সময় পরিবর্তন করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন। ফলে আদালত আবারও সময় বাড়িয়ে দেন।

এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, দম্পতির বাসার দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ বর্তমানে জামিনে থাকলেও অন্যরা কারাগারে বন্দি আছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ঘটনার পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রথমে মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন থানার একজন এসআই। চার দিন পর তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। তবে দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করেও কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র‍্যাবকে।

কিন্তু দীর্ঘ এক দশকেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকায়, ২০২3 সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়, যেখানে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে র‍্যাবকে তদন্ত কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এরপর ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মামলার অগ্রগতি নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো প্রতিবেদন জমা পড়েনি। ফলে সাগর-রুনি হত্যার বিচার এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।