ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ভারতের বিধিনিষেধে আমাদের আত্মনির্ভরতার নতুন দুয়ার খুলছে: আসিফ মাহমুদ অপসারণ নয়, নিজ ইচ্ছাতেই সরে যেতে চান পররাষ্ট্রসচিব: জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫৩৩ জন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন মেহজাবীন অচল সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুর্বিষহ জীবন নতুন নোট আসছে বাজারে, সমাধান মিলছে ছেঁড়া টাকার ঝামেলায় শাসনের পথে র‍্যাবকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত

সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবারও পেছানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহিন রেজা আগামী ৮ জুলাই নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন। এতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ১১৮ বার সময় পরিবর্তন করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন। ফলে আদালত আবারও সময় বাড়িয়ে দেন।

এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, দম্পতির বাসার দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ বর্তমানে জামিনে থাকলেও অন্যরা কারাগারে বন্দি আছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ঘটনার পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রথমে মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন থানার একজন এসআই। চার দিন পর তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। তবে দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করেও কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র‍্যাবকে।

কিন্তু দীর্ঘ এক দশকেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকায়, ২০২3 সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়, যেখানে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে র‍্যাবকে তদন্ত কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এরপর ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মামলার অগ্রগতি নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো প্রতিবেদন জমা পড়েনি। ফলে সাগর-রুনি হত্যার বিচার এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন

আপডেট সময় ০৮:১৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবারও পেছানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহিন রেজা আগামী ৮ জুলাই নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন। এতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ১১৮ বার সময় পরিবর্তন করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন। ফলে আদালত আবারও সময় বাড়িয়ে দেন।

এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, দম্পতির বাসার দুই নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের বন্ধু তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ বর্তমানে জামিনে থাকলেও অন্যরা কারাগারে বন্দি আছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ঘটনার পর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

প্রথমে মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন থানার একজন এসআই। চার দিন পর তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। তবে দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করেও কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় র‍্যাবকে।

কিন্তু দীর্ঘ এক দশকেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না থাকায়, ২০২3 সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়, যেখানে বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একইসঙ্গে র‍্যাবকে তদন্ত কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এরপর ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে টাস্কফোর্স গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মামলার অগ্রগতি নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো প্রতিবেদন জমা পড়েনি। ফলে সাগর-রুনি হত্যার বিচার এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।