মণিপুরে আসাম রাইফেলসের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১০ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত

- আপডেট সময় ০৯:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
- / 8
মণিপুরের চান্দেল জেলায় আসাম রাইফেলস ইউনিটের সঙ্গে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে ১০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। অভিযান এখনও চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড ‘এক্স’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত-মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা চান্দেল জেলার খেংজয় তহসিলের নিউ সামতাল গ্রামে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চলাফেরা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আসাম রাইফেলসের একটি ইউনিট স্পিয়ার কর্পসের অধীনে ১৪ মে ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযানের সময় সন্দেহভাজন সশস্ত্র ক্যাডাররা সেনাবাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, সেনারাও পাল্টা গুলি চালায়। পরবর্তী গুলিবিনিময়ে ১০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়।”
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসতায় অস্থির হয়ে উঠেছে মণিপুর রাজ্য। মূলত রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার হাইকোর্টের নির্দেশনার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
হাইকোর্টের ৪ মে’র সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে রাজ্যের বৃহত্তম সংখ্যালঘু, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কুকি জনগোষ্ঠী প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। সেই থেকে রাজ্যে দফায় দফায় সহিংসতা, অস্থিরতা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে আসছে।
অবশেষে চলমান অস্থির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং পদত্যাগ করেন। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা হয়।
সাম্প্রতিক এই বন্দুকযুদ্ধ রাজ্যের অস্থিরতা আরও গভীর করার শঙ্কা তৈরি করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।