কন্টেইনার পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাইলফলক, কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে অগ্রগতি
দেশে বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম বন্দর এবার কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে এক নতুন রেকর্ড গড়েছে। বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা)-এর সহসভাপতি খায়রুল আলম সুজন জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম এখন অনেক বেশি গতিশীল। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৭১২টি কন্টেইনার হ্যান্ডেল করা হয়েছে। এর আগে, ২০২১ সালে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৪৪৮টি কন্টেইনার হ্যান্ডেল করা হয়েছিল, যা ছিল বন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং এর রেকর্ড। তবে এবার অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এমন সাফল্য অত্যন্ত প্রশংসনীয় ।
সীমিত জনবল এবং অবকাঠামো নিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫,০০০ কন্টেইনার ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং পণ্য পরিবহনে গতি বেড়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষের মতে, ২০২৩ সালে বড় জাহাজের আগমন এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি ব্যবহারের কারণে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। আগে যেখানে সর্বোচ্চ ৯ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ নোঙর করতে পারতো না, সেখানে এখন ৯ থেকে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ সহজেই ভিড়তে পারছে। এই সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বন্দর কর্মকর্তারা দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং কর্মচারীদের আন্তরিকতাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক আরও জানান, গত এক বছরে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন, জাহাজের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ব্যবস্থাপনার উন্নতির ফলে বন্দর আরও কার্যকর হয়েছে। তবে জনবল এবং হ্যান্ডেলিং ব্যবস্থায় আরও উন্নতি ঘটানো গেলে ভবিষ্যতে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। চট্টগ্রাম বন্দর তার ক্রমাগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধিতে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। বন্দরের এই অগ্রযাত্রা শুধু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য নয়, বৈশ্বিক মানচিত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।