ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শান্তিরক্ষা মিশন এলাকা সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক পরিদর্শনে গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান তুরস্ক বিশ্ব রাজনীতিতে ‘পাকা খেলোয়াড়’ : এরদোয়ান মির্জা ফখরুলের সুস্থতা কামনা করলেন জামায়াত আমির বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নাম পরিবর্তন: নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১ মঙ্গলবার জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই কর্মসূচি শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে অগ্নিকাণ্ড: তালাবদ্ধ সিঁড়ির ফাঁদে চারজনের মৃত্যু রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন: নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে হাইকোর্টের রুল ইউক্রেনকে রক্ষা করতে যুক্তরাজ্যের ‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ জোট গড়ার আহ্বান ইউক্রেনের পাশে ইউরোপ, স্টারমারের চার দফা কর্মসূচি: নতুন জোট গঠনের পরিকল্পনা লা লিগার শীর্ষে বার্সা, প্রিমিয়ার লিগের মুকুটের খুব কাছে লিভারপুল

ভ্যাট অব্যাহতির নতুন ঘোষণা: তেল ও এলপি গ্যাসসহ যেসব পণ্যের ভ্যাট বাতিল করল এনবিআর

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্য এবং এলপি গ্যাসের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। হঠাৎ করেই সোমবার (৩ মার্চ) এনবিআর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এতে বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেলসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় এসেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল এবং কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি পাবে। তবে শর্ষে তেলের ক্ষেত্রে এই ছাড়ের কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির খবর হতে পারে।

ব্যবসায় পর্যায়েও কিছু পণ্য ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় এসেছে। দেশে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, বিভিন্ন ধরনের গুঁড়া মসলা, ডাল এবং ডালজাতীয় খাদ্যশস্যের ব্যবসায় পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রেও ব্যবসায় পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেরাই আমদানি করে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে, তারা এই সুবিধা পাবে না। এতে স্থানীয় উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভ্যাট অব্যাহতি পেতে ব্যবসায়ীদের কিছু শর্ত মানতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ ও মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল। এসব শর্ত পূরণ না করলে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বাতিল হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাট অব্যাহতির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে বাস্তবে এর প্রভাব নির্ভর করবে ব্যবসায়ীদের উপর। যদি তারা এই সুবিধা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে। অন্যথায়, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে মূল্যহ্রাসের প্রতিফলন বাজারে নাও দেখা যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

ভ্যাট অব্যাহতির নতুন ঘোষণা: তেল ও এলপি গ্যাসসহ যেসব পণ্যের ভ্যাট বাতিল করল এনবিআর

আপডেট সময় ০৪:১৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু পণ্য এবং এলপি গ্যাসের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। হঠাৎ করেই সোমবার (৩ মার্চ) এনবিআর এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। এতে বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, গুঁড়া মরিচ, ধনে, হলুদ, আদা, চালের কুঁড়ার তেল, সূর্যমুখী তেলসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় এসেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, রেপসিড অয়েল, কোলজা সিড অয়েল এবং কেনোলা অয়েল উৎপাদন পর্যায়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যাট অব্যাহতি পাবে। তবে শর্ষে তেলের ক্ষেত্রে এই ছাড়ের কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির খবর হতে পারে।

ব্যবসায় পর্যায়েও কিছু পণ্য ভ্যাট অব্যাহতির আওতায় এসেছে। দেশে উৎপাদিত বিস্কুট, লবণ, আটা, ময়দা, সুজি, বিভিন্ন ধরনের গুঁড়া মসলা, ডাল এবং ডালজাতীয় খাদ্যশস্যের ব্যবসায় পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

এলপি গ্যাস ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রেও ব্যবসায় পর্যায়ে শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান নিজেরাই আমদানি করে সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে, তারা এই সুবিধা পাবে না। এতে স্থানীয় উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা কিছুটা সুবিধা পাবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভ্যাট অব্যাহতি পেতে ব্যবসায়ীদের কিছু শর্ত মানতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট নিবন্ধন, চালান ইস্যু, সব ধরনের রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ ও মাসিক ভ্যাট রিটার্ন দাখিল। এসব শর্ত পূরণ না করলে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বাতিল হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাট অব্যাহতির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে বাস্তবে এর প্রভাব নির্ভর করবে ব্যবসায়ীদের উপর। যদি তারা এই সুবিধা ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেয়, তাহলে সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে। অন্যথায়, ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে মূল্যহ্রাসের প্রতিফলন বাজারে নাও দেখা যেতে পারে।