ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

প্রথমবার মোংলা বন্দরে রেলপথে পণ্য পরিবহন: নতুন দিগন্তের সূচনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 49

ছবি সংগৃহীত

 

মোংলা বন্দর দিয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ৩০টি ওয়াগনে প্রায় এক হাজার ৫০ টন চিটাগুড় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি পৌঁছেছে। বাকী পণ্য সড়কপথ ও রেলপথে ধাপে ধাপে পরিবহন করা হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি পানামা পতাকাবাহী এমটি ডলফিন-১৯ জাহাজে প্রায় ১৫০০ মেট্রিকটন চিটাগুড় মোংলা বন্দরে আসে। এই পণ্য পরে ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে সংরক্ষণ করা হয়। গত শুক্রবার থেকে সেই পণ্য রেলপথে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।

তবে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই রেলপথে পণ্য পরিবহন আনুষ্ঠানিক নয়। খুলনা-মোংলা রেলপথের জন্য একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে, তবে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের তৎপরতা প্রয়োজন।

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে খুলনা-মোংলা রেলপথ একটি মেগা প্রকল্প হিসেবে শুরু হয়। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল মোংলা বন্দরের সঙ্গে দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন সহজতর করা। কিন্তু দীর্ঘদিনেও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে চলছে।

মোংলা বন্দর বার্থ-শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, “পণ্য পরিবহন ট্রেন চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হচ্ছেন না। মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহন করতে হবে।”

২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদিত এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৪,২৬১ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২,৯৪৮ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রথমবার মোংলা বন্দরে রেলপথে পণ্য পরিবহন: নতুন দিগন্তের সূচনা

আপডেট সময় ১২:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মোংলা বন্দর দিয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ৩০টি ওয়াগনে প্রায় এক হাজার ৫০ টন চিটাগুড় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি পৌঁছেছে। বাকী পণ্য সড়কপথ ও রেলপথে ধাপে ধাপে পরিবহন করা হবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি পানামা পতাকাবাহী এমটি ডলফিন-১৯ জাহাজে প্রায় ১৫০০ মেট্রিকটন চিটাগুড় মোংলা বন্দরে আসে। এই পণ্য পরে ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেডে সংরক্ষণ করা হয়। গত শুক্রবার থেকে সেই পণ্য রেলপথে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।

তবে, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এই রেলপথে পণ্য পরিবহন আনুষ্ঠানিক নয়। খুলনা-মোংলা রেলপথের জন্য একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে, তবে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের তৎপরতা প্রয়োজন।

বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে খুলনা-মোংলা রেলপথ একটি মেগা প্রকল্প হিসেবে শুরু হয়। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল মোংলা বন্দরের সঙ্গে দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহন সহজতর করা। কিন্তু দীর্ঘদিনেও প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে চলছে।

মোংলা বন্দর বার্থ-শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, “পণ্য পরিবহন ট্রেন চালু না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা উপকৃত হচ্ছেন না। মোংলা বন্দর থেকে সরাসরি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য পরিবহন করতে হবে।”

২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদিত এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৪,২৬১ কোটি টাকা, যার মধ্যে ২,৯৪৮ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ।