ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, সম্পদের স্থানান্তর নিষিদ্ধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • / 41

ছবি সংগৃহীত

 

দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম এই ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া, এই ব্যক্তিরা তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি অন্য কোনো উপায়ে হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তন করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়।

এর আগে, ১১ মার্চ আদালত শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাড়ি ‘সুধা সদন’সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

দুদকের মতে, এই অনুসন্ধান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজে বের করতে ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্পদ জব্দের এই আদেশ বহাল থাকবে।

এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেউ এটিকে বিচারিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মত প্রকাশ করছেন। তবে, দুদক জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী কাজ করছে এবং প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, সম্পদের স্থানান্তর নিষিদ্ধ

আপডেট সময় ১০:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

 

দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা ৩১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা রয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম এই ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার জন্য আবেদন করেন।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এ ছাড়া, এই ব্যক্তিরা তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি অন্য কোনো উপায়ে হস্তান্তর বা মালিকানা পরিবর্তন করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়।

এর আগে, ১১ মার্চ আদালত শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাড়ি ‘সুধা সদন’সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠ সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

দুদকের মতে, এই অনুসন্ধান একটি চলমান প্রক্রিয়া। অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজে বের করতে ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সম্পদ জব্দের এই আদেশ বহাল থাকবে।

এই ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেউ এটিকে বিচারিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মত প্রকাশ করছেন। তবে, দুদক জানিয়েছে, তারা শুধুমাত্র আইন অনুযায়ী কাজ করছে এবং প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে।