সেন্ট মার্টিনে আরও ৫৪৪ কাছিমছানা অবমুক্ত করা হল সাগর জলরাশিতে

- আপডেট সময় ০২:২৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / 26
কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে গড়ে ওঠা মেরিন পার্ক হ্যাচারিতে জন্ম নেওয়া আরও ৫৪৪টি অলিভ রিডলি কাছিমছানাকে অবমুক্ত করা হয়েছে বঙ্গোপসাগরের নীল জলে। শনিবার বিকেলে দ্বীপের উত্তর সৈকতের ডিমাস প্যারাডাইস পয়েন্টে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
কাছিমছানাগুলোকে সাগরে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়া উদ্দীন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফ উল্লাহ নেজামী, ‘আমার সেন্ট মার্টিন’ সংগঠনের সমন্বয়ক আলী হায়দার ও আয়াতউল্লাহ খোমেনি, এবং ইউএনডিপির কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন।
ইউএনডিপির কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, ইউএনডিপি ও পরিবেশ অধিদপ্তর দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমার সেন্ট মার্টিন’-এর সহযোগিতায় কাছিম সংরক্ষণে কাজ করছে। ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩ মার্চ পর্যন্ত ২৬টি মা কাছিমের ৩ হাজার ১৮৪টি ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়। এখন পর্যন্ত এসব ডিম থেকে ১ হাজার ২৪৬টি কাছিমছানা ফুটে বের হয়েছে, যেগুলো পর্যায়ক্রমে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়া উদ্দীন বলেন, সেন্ট মার্টিনকে সামুদ্রিক প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করতে সরকার কাজ করছে। কাছিমের প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র সংরক্ষণে স্থানীয়দেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। পৃথিবীর সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এমন উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পরিবেশবিদদের মতে, অলিভ রিডলি কাছিম প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, দূষণ ও অবৈধ শিকার তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলছে। সেন্ট মার্টিনে কাছিম সংরক্ষণ কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হলে এটি দেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা আশা করছেন, সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেন্ট মার্টিন একদিন সামুদ্রিক কাছিমসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর জন্য নিরাপদ অভয়াশ্রমে পরিণত হবে।