ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুষ্ঠু নির্বাচনই হবে দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সংস্কার: নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ইসলাম ব্যবসার ক্ষেত্রে অতিমুনাফাকে সমর্থন করে না: পরিবেশ উপদেষ্টা করাচিতে পাঁচতলা ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, উদ্ধার অভিযান অব্যাহত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করাও অপরাধের শামিল : অ্যাটর্নি জেনারেল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ দুই বছর বাড়ল, উৎপাদন শুরু নিয়ে অনিশ্চয়তা ভারতের উত্তর প্রদেশে বিয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা, বরসহ নিহত একই পরিবারের ৮ জন শেরপুরের কাটাবাড়ী সীমান্তে বিদ্যুৎস্পর্শে বন্য হাতির মৃত্যু, উদ্বিগ্ন পরিবেশকর্মীরা নওগাঁর রায়হান আলম: আমচাষে নবজাগরণ ঘটানো এক সাহসী কৃষক গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই : ট্রাম্প কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ডোনেশন ওয়েবসাইট উদ্বোধন

ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে চাকরি হারানো কর্মীদের হতাশা: ‘ভেবেছিলাম উন্নতি হবে, কিন্তু হলো বিপর্যয়’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 33

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন মাইকেল গ্রগনার্ড, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁর নেতৃত্বে উন্নতির আশা ছিল। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মধ্যে তিনি বুঝে ফেলেন, তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে হাজার হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন, এবং এর মধ্যে ছিলেন গ্রগনার্ডও। মার্কিন কৃষি বিভাগে আইনি উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য যোগ দেওয়া এই রিপাবলিকান ভোটার বলছেন, চাকরি হারিয়ে তিনি হতবাক।

গ্রগনার্ড বলেন, “এটি ছিল আমার স্বপ্নের চাকরি। কিন্তু এখন, আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।” তিনি আরও জানান, তাঁর মতো অনেক কর্মীই টানা কয়েক মাস ধরে চাকরি হারানোর পর এখন অস্থির, কেননা তাঁদের হাতে কোন বিকল্প কাজ নেই।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের নীতি, যা সরকারি সংস্থাগুলোর ব্যয় ও জনশক্তির আকার কমানোর লক্ষ্যে তৈরি, এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে কার্যকর হয়েছে। হাজারো শিক্ষানবিশ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, এবং শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদেরও কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ৭৭ হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে আর্থিক সুবিধা প্রদান করেছে।

গ্রগনার্ডসহ অনেকেই ভেবেছিলেন, ট্রাম্পের প্রশাসন কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু বাস্তবে, তাঁরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, তা তাঁদের পক্ষে একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। তিনি বলেন, “আমি আশা করেছিলাম, এই পরিবর্তনটি আরও যুক্তিসঙ্গত ও দক্ষভাবে করা হবে, কিন্তু তা হয়নি।”

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের (আইআরএস) চাকরিচ্যুত কর্মী জেমস ডায়াজও ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “এভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করা, বিশেষ করে যাদের সত্যিই প্রয়োজন, তা খুবই দুর্বিষহ।”

এদিকে, চাকরি হারানো কিছু কর্মী এখন নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত। সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসেসের এক সাবেক নারী কর্মী বলেন, “যদি জানতাম এমন হবে, তাহলে কখনোই ট্রাম্পকে ভোট দিতাম না।”

এভাবেই, ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া কর্মীদের অনেকেই এখন হতাশ। তাদের মতে, ট্রাম্পের প্রশাসন যেভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে, তাতে দেশের উন্নতি না হয়ে সংকট আরো বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে চাকরি হারানো কর্মীদের হতাশা: ‘ভেবেছিলাম উন্নতি হবে, কিন্তু হলো বিপর্যয়’

আপডেট সময় ০৩:২৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন মাইকেল গ্রগনার্ড, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁর নেতৃত্বে উন্নতির আশা ছিল। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মধ্যে তিনি বুঝে ফেলেন, তাঁর সিদ্ধান্ত ছিল ভুল। সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকে হাজার হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছেন, এবং এর মধ্যে ছিলেন গ্রগনার্ডও। মার্কিন কৃষি বিভাগে আইনি উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য যোগ দেওয়া এই রিপাবলিকান ভোটার বলছেন, চাকরি হারিয়ে তিনি হতবাক।

গ্রগনার্ড বলেন, “এটি ছিল আমার স্বপ্নের চাকরি। কিন্তু এখন, আমি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।” তিনি আরও জানান, তাঁর মতো অনেক কর্মীই টানা কয়েক মাস ধরে চাকরি হারানোর পর এখন অস্থির, কেননা তাঁদের হাতে কোন বিকল্প কাজ নেই।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের নীতি, যা সরকারি সংস্থাগুলোর ব্যয় ও জনশক্তির আকার কমানোর লক্ষ্যে তৈরি, এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে কার্যকর হয়েছে। হাজারো শিক্ষানবিশ কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, এবং শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদেরও কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন ৭৭ হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে আর্থিক সুবিধা প্রদান করেছে।

গ্রগনার্ডসহ অনেকেই ভেবেছিলেন, ট্রাম্পের প্রশাসন কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু বাস্তবে, তাঁরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, তা তাঁদের পক্ষে একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল। তিনি বলেন, “আমি আশা করেছিলাম, এই পরিবর্তনটি আরও যুক্তিসঙ্গত ও দক্ষভাবে করা হবে, কিন্তু তা হয়নি।”

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের (আইআরএস) চাকরিচ্যুত কর্মী জেমস ডায়াজও ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “এভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করা, বিশেষ করে যাদের সত্যিই প্রয়োজন, তা খুবই দুর্বিষহ।”

এদিকে, চাকরি হারানো কিছু কর্মী এখন নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত। সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসেসের এক সাবেক নারী কর্মী বলেন, “যদি জানতাম এমন হবে, তাহলে কখনোই ট্রাম্পকে ভোট দিতাম না।”

এভাবেই, ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া কর্মীদের অনেকেই এখন হতাশ। তাদের মতে, ট্রাম্পের প্রশাসন যেভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে, তাতে দেশের উন্নতি না হয়ে সংকট আরো বাড়বে।