ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড, গ্রেপ্তার দেখানো হলো আরও এক নেত্রীকে সরকারি তিন দপ্তরে শীর্ষ পদে রদবদল শক্তিশালী ষড়যন্ত্রের ছায়ায় বেলুচিস্তানে ট্রেন ছিনতাই, রাষ্ট্রীয় শক্তির জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা দুই বিভাগে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি দুইবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে’, অবস্থা আরো অবনতির পথে রংপুরে একযুগ পর শিবির নেতা আশিকুর রহমান হত্যার বিচার চেয়ে আ. লীগের দুই সাবেক এমপির নামে মামলা বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানো যথেষ্ট নয়: শফিকুল আলম শাহবাগীদের কারণে ‘গডমাদার অফ ফ্যাসিজম’ হলেন হাসিনা: শিবির সভাপতি ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ, আহত ১৪

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের বাম্পার ফলন: কৃষি বিকাশে নতুন দিগন্ত

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

পার্বত্য তিন জেলা, বিশেষ করে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান, এখন ফলের উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এখানকার উর্বর মাটি এবং কৃষি সম্প্রসারণ উদ্যোগের ফলে ফলের চাষে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। দুই দশক আগে পাহাড়ে বাণিজ্যিক ফল চাষ শুরু হলেও, বর্তমানে ফল উৎপাদন ও বাগান এলাকা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবার বাগানিরা জানাচ্ছেন, আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষত রাঙামাটির কুতুকছড়ি বাজারে রাস্তার পাশে সারি সারি আনারসের স্তূপ চোখে পড়ছে। বাগানি এফেন চাকমা জানান, তিনি ১৪ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন এবং বাজারে কিছু আনারস নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। এছাড়া অন্যান্য ফলের চাষও হচ্ছে, যেমন কুল, বাউকুল, কমলা, জাম্বুরা, রাম্বুটান, লিচু এবং মাল্টা।

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের চাষে বিশেষভাবে বেড়েছে অপ্রচলিত ফলের আবাদ। লটকন, ড্রাগন, কাজুবাদাম, কফি, সফেদাসহ নতুন নতুন ফলের চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। গত অর্থবছরে তিন পার্বত্য জেলায় ফলের বিক্রি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি, যা আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাসিম হায়দার জানান, পাহাড়ের মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় ফলের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। গত বছরে তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ১৯ লাখ টন ফল উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ফল হচ্ছে আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে এবং ড্রাগন।

এছাড়া পাহাড়ে এবার ২১ হাজার টন কুল এবং প্রায় তিন হাজার টন কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়েছে, যা কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে। একসময় শুধুমাত্র দেশি কুল চাষ হলেও, এখন বল সুন্দরী কুল, কাজুবাদামসহ নানা নতুন ফল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের চাষের এই দ্রুত সম্প্রসারণ দেশের কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, যা আগামী দিনে স্থানীয় কৃষকদের জন্য আরও বেশি লাভজনক হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৪১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
৫১৫ বার পড়া হয়েছে

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের বাম্পার ফলন: কৃষি বিকাশে নতুন দিগন্ত

আপডেট সময় ০১:৪১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

পার্বত্য তিন জেলা, বিশেষ করে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান, এখন ফলের উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এখানকার উর্বর মাটি এবং কৃষি সম্প্রসারণ উদ্যোগের ফলে ফলের চাষে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। দুই দশক আগে পাহাড়ে বাণিজ্যিক ফল চাষ শুরু হলেও, বর্তমানে ফল উৎপাদন ও বাগান এলাকা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবার বাগানিরা জানাচ্ছেন, আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষত রাঙামাটির কুতুকছড়ি বাজারে রাস্তার পাশে সারি সারি আনারসের স্তূপ চোখে পড়ছে। বাগানি এফেন চাকমা জানান, তিনি ১৪ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন এবং বাজারে কিছু আনারস নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। এছাড়া অন্যান্য ফলের চাষও হচ্ছে, যেমন কুল, বাউকুল, কমলা, জাম্বুরা, রাম্বুটান, লিচু এবং মাল্টা।

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের চাষে বিশেষভাবে বেড়েছে অপ্রচলিত ফলের আবাদ। লটকন, ড্রাগন, কাজুবাদাম, কফি, সফেদাসহ নতুন নতুন ফলের চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। গত অর্থবছরে তিন পার্বত্য জেলায় ফলের বিক্রি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি, যা আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাসিম হায়দার জানান, পাহাড়ের মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় ফলের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। গত বছরে তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ১৯ লাখ টন ফল উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ফল হচ্ছে আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে এবং ড্রাগন।

এছাড়া পাহাড়ে এবার ২১ হাজার টন কুল এবং প্রায় তিন হাজার টন কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়েছে, যা কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে। একসময় শুধুমাত্র দেশি কুল চাষ হলেও, এখন বল সুন্দরী কুল, কাজুবাদামসহ নানা নতুন ফল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের চাষের এই দ্রুত সম্প্রসারণ দেশের কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, যা আগামী দিনে স্থানীয় কৃষকদের জন্য আরও বেশি লাভজনক হবে।