০৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের বাম্পার ফলন: কৃষি বিকাশে নতুন দিগন্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 83

ছবি সংগৃহীত

 

পার্বত্য তিন জেলা, বিশেষ করে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান, এখন ফলের উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এখানকার উর্বর মাটি এবং কৃষি সম্প্রসারণ উদ্যোগের ফলে ফলের চাষে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। দুই দশক আগে পাহাড়ে বাণিজ্যিক ফল চাষ শুরু হলেও, বর্তমানে ফল উৎপাদন ও বাগান এলাকা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবার বাগানিরা জানাচ্ছেন, আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষত রাঙামাটির কুতুকছড়ি বাজারে রাস্তার পাশে সারি সারি আনারসের স্তূপ চোখে পড়ছে। বাগানি এফেন চাকমা জানান, তিনি ১৪ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন এবং বাজারে কিছু আনারস নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। এছাড়া অন্যান্য ফলের চাষও হচ্ছে, যেমন কুল, বাউকুল, কমলা, জাম্বুরা, রাম্বুটান, লিচু এবং মাল্টা।

বিজ্ঞাপন

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের চাষে বিশেষভাবে বেড়েছে অপ্রচলিত ফলের আবাদ। লটকন, ড্রাগন, কাজুবাদাম, কফি, সফেদাসহ নতুন নতুন ফলের চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। গত অর্থবছরে তিন পার্বত্য জেলায় ফলের বিক্রি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি, যা আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাসিম হায়দার জানান, পাহাড়ের মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় ফলের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। গত বছরে তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ১৯ লাখ টন ফল উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ফল হচ্ছে আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে এবং ড্রাগন।

এছাড়া পাহাড়ে এবার ২১ হাজার টন কুল এবং প্রায় তিন হাজার টন কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়েছে, যা কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে। একসময় শুধুমাত্র দেশি কুল চাষ হলেও, এখন বল সুন্দরী কুল, কাজুবাদামসহ নানা নতুন ফল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের চাষের এই দ্রুত সম্প্রসারণ দেশের কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, যা আগামী দিনে স্থানীয় কৃষকদের জন্য আরও বেশি লাভজনক হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের বাম্পার ফলন: কৃষি বিকাশে নতুন দিগন্ত

আপডেট সময় ০১:৪১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

পার্বত্য তিন জেলা, বিশেষ করে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান, এখন ফলের উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এখানকার উর্বর মাটি এবং কৃষি সম্প্রসারণ উদ্যোগের ফলে ফলের চাষে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। দুই দশক আগে পাহাড়ে বাণিজ্যিক ফল চাষ শুরু হলেও, বর্তমানে ফল উৎপাদন ও বাগান এলাকা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এবার বাগানিরা জানাচ্ছেন, আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষত রাঙামাটির কুতুকছড়ি বাজারে রাস্তার পাশে সারি সারি আনারসের স্তূপ চোখে পড়ছে। বাগানি এফেন চাকমা জানান, তিনি ১৪ হাজার আনারসের চারা রোপণ করেছেন এবং বাজারে কিছু আনারস নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। এছাড়া অন্যান্য ফলের চাষও হচ্ছে, যেমন কুল, বাউকুল, কমলা, জাম্বুরা, রাম্বুটান, লিচু এবং মাল্টা।

বিজ্ঞাপন

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের চাষে বিশেষভাবে বেড়েছে অপ্রচলিত ফলের আবাদ। লটকন, ড্রাগন, কাজুবাদাম, কফি, সফেদাসহ নতুন নতুন ফলের চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। গত অর্থবছরে তিন পার্বত্য জেলায় ফলের বিক্রি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি, যা আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাসিম হায়দার জানান, পাহাড়ের মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় ফলের উৎপাদন দিন দিন বাড়ছে। গত বছরে তিন পার্বত্য জেলায় প্রায় ১৯ লাখ টন ফল উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ফল হচ্ছে আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে এবং ড্রাগন।

এছাড়া পাহাড়ে এবার ২১ হাজার টন কুল এবং প্রায় তিন হাজার টন কাজুবাদাম উৎপাদিত হয়েছে, যা কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে। একসময় শুধুমাত্র দেশি কুল চাষ হলেও, এখন বল সুন্দরী কুল, কাজুবাদামসহ নানা নতুন ফল চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলে ফলের চাষের এই দ্রুত সম্প্রসারণ দেশের কৃষি খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, যা আগামী দিনে স্থানীয় কৃষকদের জন্য আরও বেশি লাভজনক হবে।