ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অস্ট্রেলিয়ার ১০ বিলিয়ন ডলারের উইন্ড ফার্ম প্রকল্প বাতিল কোস্টগার্ডের হাতে ধরা পড়ল ৪১৩ কোটি টাকার অবৈধ জাল ডাকসু প্রচারণায় কঠোর শৃঙ্খলা জারি, প্রার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশনা চীন সফরে যাচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি দল ঢাকা অঞ্চলের ৩১৬ দাবি-আপত্তির শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর লিসা কুককে অপসারণের ঘোষণা ট্রাম্পের “প্রত্যাবাসনের পথ: যুক্তরাষ্ট্র-চীনের দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ” যুদ্ধ শেষ হলেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে : ফিনল্যান্ড আবাসন ভাতাসহ তিন দাবিতে জবি ছাত্রদলের মানববন্ধন প্রথমবারের মতো হাফতার নিয়ন্ত্রিত লিবিয়ায় ভিড়ল তুর্কি যুদ্ধজাহাজ

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 54

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরিকল্পনা করছে। মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এক মার্কিন কর্মকর্তা এবং বিষয়টি জানেন এমন এক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রগুলো জানায়, হোয়াইট হাউস পররাষ্ট্র এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে, মার্কিন কর্মকর্তারা রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এটি ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কালের মতো কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির আলোচনার অংশ হতে পারে। এই আলোচনায় রাশিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন রাশিয়ান অলিগার্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

তবে, নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে ওয়াশিংটন কী বিশেষ দাবি রাখবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ, এবং যদি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়, তবে তা বিশ্ব বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। বিশেষত, যদি ট্রাম্প ইরান থেকে তেল রপ্তানির ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেন, তেমন পরিস্থিতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এদিকে, হোয়াইট হাউস, পররাষ্ট্র দপ্তর, ট্রেজারি বিভাগ, এবং ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস এখনও এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। গত বছর, ক্রেমলিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘শূন্যের নীচে’ বলে বর্ণনা করেছিল। তবে জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর, ট্রাম্প মস্কোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

১২ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে এই আলোচনা শুরু হয়, এবং পরবর্তীতে সৌদি আরব ও তুরস্কে মার্কিন এবং রাশিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০১:৫০:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরিকল্পনা করছে। মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রয়টার্সের প্রতিবেদনে এক মার্কিন কর্মকর্তা এবং বিষয়টি জানেন এমন এক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্রগুলো জানায়, হোয়াইট হাউস পররাষ্ট্র এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে, মার্কিন কর্মকর্তারা রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এটি ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কালের মতো কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির আলোচনার অংশ হতে পারে। এই আলোচনায় রাশিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন রাশিয়ান অলিগার্কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

তবে, নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে ওয়াশিংটন কী বিশেষ দাবি রাখবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ, এবং যদি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়, তবে তা বিশ্ব বাজারে তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। বিশেষত, যদি ট্রাম্প ইরান থেকে তেল রপ্তানির ওপর কঠোর ব্যবস্থা নেন, তেমন পরিস্থিতিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এদিকে, হোয়াইট হাউস, পররাষ্ট্র দপ্তর, ট্রেজারি বিভাগ, এবং ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস এখনও এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। গত বছর, ক্রেমলিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘শূন্যের নীচে’ বলে বর্ণনা করেছিল। তবে জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর, ট্রাম্প মস্কোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

১২ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে এই আলোচনা শুরু হয়, এবং পরবর্তীতে সৌদি আরব ও তুরস্কে মার্কিন এবং রাশিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।